বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক আলোচনা হলে প্রতিরোধ


সোমবার,০৭/১২/২০২০
620

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: ওয়াজমাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি বা যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করলে তা প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়৷ ৬ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ নির্দেশ দেন৷ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে, তাদের আর এক চুল ছাড় দেবেন না৷ প্রত্যেকটি পাড়ামহল্লায় যারা ওয়াজ মাহফিলের নাম করে, টাকার বিনিময়ে ওয়াজ করে, নবীজীর ঠোঁট নাড়ানো দেখিয়ে নবীজীকে অবমাননা করে, সেই মামুনুল হকদের প্রতিহত করবেন। তারা ওয়াজ মাহফিলে বসে যদি কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করে, যদি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনও কথা বলে, আপনারা ওই ওয়াজ মাহফিল প্রতিহত করবেন। ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হলো, যেখানে ওয়াজমাহফিল হবে, খবর পেলে আগে থেকে ওই জায়গায় অবস্থান নেবেন৷ভাস্কর্যবিরোধীদের উদ্দেশে নাহিয়ান বলেন, “তোদেরকে আর আপনি বলার সুযোগ নেই। জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার পেছনে তোদের মদদ রয়েছে। মামুনুল হক ভাস্কর্য ভাঙতে উস্কে দিয়েছে। তোদেরকে শায়েস্তা করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।তোরা আমাদেরকে ক্ষ্যাপায় তুলছিস। আমরা সব সময় শান্তিপ্রিয়, শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু তোদের মতো কুলাঙ্গারদের জন্য আমাদেরকে অনেকে বেয়াদব বলে।

বিজ্ঞাপন

তোদের মতো কুলাঙ্গারদের শায়েস্তা করতে যদি আমাদের বেয়াদব হতে হয়, সেই বেয়াদব আমরা হতে চাই।জয় বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের প্রতিটি জনগণের হৃদয়ের অবস্থান করছে। ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে জনগণের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে দূরে রাখা যাবে না। এ সময় দেশের যেকোনো ওয়াজ মাহফিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান করার নির্দেশনা দেন ছাত্রলীগ সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মকে পুঁজি করে অরাজকতা তৈরি করছে। এদের উদ্দেশ্য একটি। ৭১ সালেও তারা এ দেশকে অস্বীকার করেছিল। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধর্মের নাম করে অশান্তি তৈরি করলে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগ সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করে। তোদের মতো কুলাঙ্গারদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ বেয়াদব হবে। ভাস্কর্যবিরোধীতাকারীদের কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করার জন্য সরকারসহ গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুরোধ জানান জয়।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট