ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি তদন্ত করে ঘটনার প্রতিবেদন দেবে। এর আগে ৫ ডিসেম্বর শনিবার রাতে শহরের একটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। গণমাধ্যমের আটকের বিষয় নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। পুলিশ সূত্র জানায়, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙচুর হওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে মাইক্রোবাসযোগে এসে এক যুবক দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত মজমপুর গেট হয়ে চৌড়হাঁসের দিকে চলে যায়। পরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনা সরাসরি প্রত্যক্ষ করা পুলিশ লাইনের এসআই মকছেদুর রহমান বলেন, বেলা ৩টার দিকে তিনি ভাস্কর্যের সামনে পেশাগত দায়িত্বে আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে একটি নোহা গাড়ি আসে।
ওই গাড়ির ভেতর থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। গাড়িটিতে কোনো নম্বর প্লেট ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বিভাগীয় পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এ.কে.এম নাহিদুল ইসলাম। এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রোববার বিকেল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভা আহ্বান করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।