কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যেই কৃষি বিল, বললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য


শনিবার,০৫/১২/২০২০
667

কৃষকরা যেভাবে কৃষি বিলের বিরোধিতা করে টানা রাস্তায় বসে আছেন সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। কৃষকদের কোন খানে লাভ কতটা লাভ হয় তাদের বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না এবং তার পাশাপাশি কিছু রাজনৈতিক দল তাদেরকে ভুল বোঝাচ্ছেন। খুব তাড়াতাড়ি এটা মিটে যাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রতিনিধি হিসেবে ডেরেক ও’ব্রায়েন কে পাঠিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ যা খুশি করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার এতদিন কৃষকদের কথা ভেবে একটি নতুন আইন লাগু করতে চলেছে যাতে কৃষকদের উন্নতি হয়। সেখানে গিয়ে এই ধরনের কাজ অনুচিত। তিনি জানান, বাংলায় কৃষকরা ঠিকমতো ন্যায্যমূল্য পান না। সে ধানের ক্ষেত্রে হোক বা আলুর ক্ষেত্রে। কৃষকরা কষ্ট করে যে ফসল ফলায়, কিছু মানুষ এসে তাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিয়ে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেন। প্রত্যেক রাজ্যের কিষাণ মান্ডি বলে আছে কিন্তু সেই কিষাণ মান্ডি লাভ কারা আখেরে ওঠায় প্রত্যেক মানুষ জানে। বাংলাতে কোথাও আন্দোলন করতে পারা যায় না, মানুষ অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। অর্থনৈতিক অবস্থার হাল বেহাল।

বিজ্ঞাপন

কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শমীক ভট্টাচার্য জানান সিঙ্গুর আন্দোলন এবং বর্তমানে কৃষি আন্দোলন দুটি প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। সিঙ্গুর আন্দোলনের ফলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম সারিতে আসে কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। কিছু মানুষ জমি ফেরত পেলেও চাষীরা ফসল ফিরে পায়নি। এবং এই আন্দোলন থেকে বাংলা তথা ভারতবর্ষ একটি বার্তা গিয়েছিল যে বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি নেই তাই বাংলায় বিনিয়োগ আসছে না। যে জায়গায় অটোমোবাইল হাব হওয়ার কথা ছিল সেটা এখন কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার চিন্তাভাবনা করে, কৃষকরা যাতে যথোপযুক্ত মূল্যায়ন এবং উপার্জন করতে পারেন তার জন্য এই বিল নিয়ে এসেছে।

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তিনি বলেন যে সবেতে এখন তৃণমূল ভয় পাচ্ছে এবং বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন বাড়িতে বিভিন্ন সময় মিটিং করে বেড়াচ্ছে। নাম না করে শুভেন্দুকে বলেন বিজেপির রথ চলছে পুণ্যার্থীরা রথে চড়বেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট