জয়রামবাটি তে একদিন


শুক্রবার,০৪/১২/২০২০
1419

স্বাগতা ভট্টাচার্য্য : সকাল সকাল বাস ধরে চলে গেলাম হাওড়া । ৫:8৫ এর বাস ধরলাম বাটা (নিউল্যান্ড) থেকে ,হাওড়া তে যখন পৌছালাম তখন ৬:8০ । আমিতো হাওড়া পৌছে দাড়িয়ে আছি এদিকে আমার সহকর্মী বিদিশা দি তখনও পৌছায়নি । সে পৌছাল ৭:১০ । তারপর আমরা স্টেশনে গেলাম ,টিকিট কেটে ৭:২৫ এর গোঘাট লোকাল ধরলাম । ট্রেনটি গোঘাট এ পৌছাল ১০ টা । স্টেশনের বাইরে কিছু গাড়ি দাড়িয়ে ছিল – কামারপুকুর,জয়রামবাটি বলে হাঁকছিল । একটি মারুতি ভ্যান এ উঠে বসলাম ,প্রায় ২০ মিনিট পরে কামারপুকুরে পৌছালাম । মন্দিরে গিয়ে ভোগের কুপন কেটে নিলাম । তারপর চারিদিক ঘুরে দেখতে লাগলাম – হালদার পুকুর , লাহাবাবুদের দূর্গামন্দির বিষ্ণুমন্দির ,ঠাকুরের পাঠশালা ,সমাধিস্থল ইত্যাদি । ঘুরে এসে প্রসাদ খাওয়ার ঘরে ঢুকলাম ,সেখানে সারি দিয়ে বেঞ্চ পাতা ছিল ,প্রতিটা বেঞ্চ আবার অ্যালুমিনিয়াম সীট দিয়ে কভার করা । খাওয়া দাওয়া সেরে বেরোলাম প্রায় ১ টা । খাওয়ারের পদে ছিলো – ভাত ,সয়াবিনের তরকারী ,শাক ,ডাল ,কুমরোর চাটনি ,পায়েস । এরপর মন্দির চত্বর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে বাইরের দোকান থেকে সাদা বোদে কিনলাম । তারপর জয়রামবাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । কামারপুকুর থেকে একটি টোটো করে পৌছেগেলাম জয়রামবাটি ,তখন ঘড়িতে ১: ৩০ । মন্দির তখন বন্ধ । আবার খুলবে ৩:৩০ এ । এতোক্ষন সময় কিভাবে কাটাবো ভাবতে ভাবতে পাশেই সিংহবাহিনী মন্দিরে গেলাম ।

ছবি : স্বাগতা ভট্টাচার্য্য

সেখানে বসার জায়গা ছিল,ওখানেই বসলাম । তারপর প্রায় ৩ টে নাগাদ ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম । মন্দিরের সামনে সাজার জিনিস ,ব্যাগ ইত্যাদির দোকান ছিল সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম । তারপর ৩:৩০ বাজতেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দিলো । আমরা মন্দিরে এ ঢুকে চারিদিক ঘুরে দেখলাম – মায়ের পুরনো বাড়ি ,রান্না ঘর , রান্নার সরঞ্জাম ,মায়ের নতুন বাড়ি , গোয়াল ঘর ,বিশাল ক্ষেত ইত্যাদি । বেশীক্ষন থাকার উপায় ছিলোনা ,কারন আবার ফেরার ট্রেন ধরতে হবে । ৩:8৫ এ বেরিয়ে এলাম । এরপর বাসস্ট্যান্ড এ গিয়ে বাস ধরে আরামবাগ পৌছালাম ,সেখান থেকে অটো করে আরামবাগ স্টেশনে পৌছালাম । টিকিট কেটে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম ।একটু খিদে খিদেও পেয়েছিল তাই স্টেশনে মুড়ি মাখা খেলাম । তারপর ৫:২৫ এ ট্রেন এলো এবং আমরা ট্রেনে উঠে পড়লাম । ট্রেনটি হাওড়ায় ঢুকলো ৮ টায় । সেদিন ছট্ পূজো উপলক্ষ্যে ছুটি ছিল বলে ট্রেনে তেমন ভির ছিলনা ,ফাকাই ছিল । তারপর হাওড়া থেকে বাস ধরে বিদিশা দি চলে গেল ওর বাড়ির উদ্দেশ্যে আর আমি আমার বাড়ির দিকে চলে এলাম । একদিনের ভ্রমন বেশ ভালই হলো ।

ছবি : স্বাগতা ভট্টাচার্য্য

আমার এই ভ্রমন এক বছর আগের তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়ত অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট