কলকাতা: ভারতের তৈরি করোনা ভ্যাকশিন ট্রায়ালে কলকাতায় প্রথম নিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান ফিরহাদ হাকিম। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমার কোন অসুবিধা হয়নি আমি ভালো আছি। ট্রায়ালের পর এর সাফল্য মিলবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।যত তাড়াতাড়ি জনসাধারণের জন্য দেওয়ার ব্যাবস্থা হবে সেদিকে তাকিয়ে আছি বলে জানান প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান। তিনি ববলেন, আমরাও আশায় রইলাম যত তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকশিন যাতে জনসাধারনের জন্য দেওয়া যায়। সাকসেস ফুল হবে এই আশা রাখি। ভ্যাকশিন নিয়ে সুস্থ্য আছি।
প্রথমে আমি নিলাম। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করছেন।
এদিন নাইসেডে এসে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজ্যে অতিমারী সময়ে স্বাস্থ্য সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা হয়েছে। দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত।প্যান্ডামিক পারচেসে দুর্নীতির কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। পারচেস রিপোর্ট চেয়ে।যারা প্যান্ডামিক সময়ে টাকা কামাতে চেয়েছেন, তারা সমাজের লজ্জা। জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়। কেন উনি বলেছেন? এখানে বলার জায়গা নয়। পদে থাকার যোগ্য নন।
আমার দেশের বিজ্ঞানীরা এটা করছেন, আমি সবসময় বায়োটেকের কাজকে সাধুবাদ করছি।
নাইসেডেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত বেশ কিছু জরুরি ইনফরমেশন দিয়েছেন কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে।পূর্ববর্তী যে দুটি ট্রায়াল হয়েছে কোভ্যাকসিনের, তার ফল যথেষ্ট আশাপ্রদ। যদিও এই ট্রায়াল হয়েছে খুব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে। তৃতীয় পর্যায়ের এই ট্রায়ালে দেশ জুড়ে কাজ করবে ২৪টি সংস্থা। যাদের মধ্যে একটি হল নাইসেড। বেশ কয়েকটি শর্ত ও শারীরিক পরীক্ষার পরই এই ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবেন।মোট স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ২৫,৮০০ জন, যার মধ্যে নাইসেডে ট্রায়াল হবে ১০০০ জনের। ১০০০ জনের মধ্যে ৫০০ জন পাবে কোভ্যাকসিন এবং প্লাসিবো পাবে ৫০০ জন।মোট দুটি ডোজ, ২৮ দিন পর একটি ডোজ।এক বছর নজর রাখা হবে স্বেচ্ছাসেবকদের।মূলত: প্রটেক্টিভ এফিকেসি দেখা হবে এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে।