ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই। কোনো অপশক্তি নেই এটা প্রতিহত করার। যারা এই ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আইনি ব্যবস্থা নেবে, জনগণ প্রতিহত করবে। ২৮ নভেম্বর শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘ভাস্কর্য নিয়ে কিছু আলেম ওলামা–মাশায়েখ উগ্র কথা বলছেন। তারা নাকি ইসলামের ধারক–বাহক। ইসলামে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ তারা শান্তির ভাষায় কথা বলছেন না। তাদের যে উগ্রতা সেটা ইসলামের কথা হতে পারে না। শান্তির ধর্মের কথা হতে পারে না। ওলামা–মাশায়েখদের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কোন ইসলামের কথা বলছেন? আপনাদের এই ভাষা জনগণ বরদাশত করবে না।’ হানিফ বলেন, ‘ওলামা–মাশায়েখরা ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্র–জঙ্গিবাদ টাইপের কথা বলছেন।
ইসলাম সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদের ভাষা নয়। এদেশে সরকার আছে, জনগণ আছে। তাদের শক্তি সম্পর্কে আপনাদের অবহিত থাকতে হবে। উগ্রবাদী–সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কথা বলে শ্রদ্ধা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। জনগণ বরদাশত করবে না। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রাজাকারদের হুমকি শোনার জন্য এদেশ স্বাধীন হয়নি– এটা পরিষ্কার মনে রাখবেন। অযথা মাঠ গরমের চেষ্টা করবেন না। শাপলা চত্বরের কথা বলে যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যারা শাপলা চত্বরের কথা বলছেন তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। সেদিন রাতের অন্ধকারে যারা পালিয়ে গেছেন তারা আজ আবার কোন মুখে সরকারকে হুমকি দেয়?’ ইন্দোনেশিয়া, সৌদিআরব, ইরান, জর্ডান এমনকি পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে ভাস্কর্য রয়েছে দাবি করে হানিফ বলেন, ‘ওইসব দেশে ভাস্কর্য নিয়ে তো কেউ কথা বলে না।’ এ সময় বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচার ও অভিযোগে ভরা।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত ও সাজেদা বেগম, যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল ও মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকতার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির, দফতর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।