ঝাড়গ্রাম:- বামপন্থীদের ডাকা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। এদিন সকাল থেকেই ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় পথঅবরোধ শুরু করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। অবরোধের জেরে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে বেশ কিছুক্ষন আটকে থাকে স্টীল এক্সপ্রেস।পরে অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রেল অবরোধ তুলে নেন সিপিএমের কর্মীসমর্থকরা । কেন্দ্রীয় কৃষি আইন, শ্রম কোড, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। দেশজুড়ে বাম-কংগ্রেস ১৬টি শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘট হচ্ছে।
এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রামের রাস্তায় পণ্যবাহী লরি এবং বেসরকারি বাসের দেখা নেই যদিও কয়েকটি সরকারি বাসের দেখা পাওয়া যায় এদিন সকালে । ঝাড়গ্রাম শহরের জুবলি মার্কেট , কোর্ট রোড চত্বরের বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে । মেনরোডর উপর কয়েকটি দোকান যেমন ফল দোকান, ফুল দোকান এবং চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখা যায় । যদিও এদিনের বন্ধের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি ঝাড়গ্রাম সবজি বাজারে । সাধারণ দিনের মতই মানুষ কে সবজি কেনাকাটা করতে দেখা যায় । বন্ধের সমর্থনে সিপিএমের পাশাপাশি এসইউসিআই কে মিছিল করতে দেখা যায় । গতকাল রাত থেকেই প্রতিটি ব্যাঙ্ক এবং সরকারী অফিসের বাইরে পোস্টারিং করে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা বন্ধের সমর্থনে । এদিন সকালে পেট্রোল পাম্প গুলিতে সিপিএমের দলীয় পতাকা বেঁধে দেয়া হয় । বন্ধ সম্পূর্ণভাবে সফল করতে বাইক মিছিল শুরু করেছে সিপিএমের কর্মীসমর্থকরা । ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, বেলপাহাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় বন্ধের সমর্থনে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মিছিল করতে দেখা যায় । যদিও এদিনের বন্ধ কে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে এখনো কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি ।