শম্পা সরদার, কলকাতা: চেষ্টা করছি অন্যের সমালোচনা না করে, সমালোচনার জবাব না দিয়ে পজিটিভ কথা বলতে। কেন্দ্রের বিজেপি দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাই। এক ভাষা করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। বিধানসভা ভোট সামনে। মমতা সেই নেত্রী যিনি দেশের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক করতে পারেন। দেশে যেটা হচ্ছে তা আমাদের পক্ষে চিন্তার। ভয়ঙ্কর অবস্থা দেশে। সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন যে সব সংস্থা স্বাধীন ভারতে গড়ে উঠেছিল তা অবননের পর্যায়ে। মানুষ রুখে দাঁড়ান। কেন্দ্রের বিজেপি রাজ্য গুলিতেও যেনতেন প্রকারে তাদেন সরকার গড়ে তুলতে চাইছে। কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশে দল ভাঙায় উৎসাহ দিয়ে বিরোধী সরকার ভোঙে দিয়ে নিজেদের দখলে নিয়েছে।
ফেক নিউজ প্রচার করতে আইটি সেলের প্রধানকে নিয়ে এসেছে রাজ্যে। বিজেপি বিরোধীদের প্রতি কাদা ছুড়তে চাইছে তারা।বিভাজনের শক্তিকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা চালাবে বলে আমাদের আশঙ্কা। এর ফলে শান্তি ও সুস্থির অবস্থা ক্ষতি করবে।
গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর মত রাজ্যপাল দেখেছি। বর্তমান রাজ্যপাল শাসকদলের হয়ে ট্যুইট করছে, কাজ করছে। রাজ্যপাল মানে যে প্রতিষ্ঠান, মর্যাদা স্থাপন করেছিল তা ভেঙে যাচ্ছে।
মোদি সরকারের আমলে আর্থিক ভাবে দেশ দুর্বল হয়েছে। বেকারি বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে কোন যোগ্য ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। এমন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি যাতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। দেশের সম্পত্তি বিক্রি করছে। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করছে, কয়লা শিল্প বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে। জনবিরোধী ও শ্রমিক বিরোধী নীতি নিয়ে চলছে কেন্দ্রের সরকার। কৃষি আইনে কৃষকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২২ সালে কৃষকদের আয় দ্বিগুন হবে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যে ভাবে চলছে ২০২৮ সালে দ্বিগুন হবে এই হারে বাড়লে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ৩ গুন বেড়েছে কৃষকদের আয়।
কৃষকরা সারা দেশে আন্দোলনে নেমেছে কৃষক আইনের প্রতিবাদে। পঞ্জাবে দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ ছিল আন্দোলনের জেরে। জনবিরোধী কৃষক, শ্রমিক বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষকে সারা দেশে প্রতিবাদ করতে হবে এই সরকারোর বিরুদ্ধে। আমফানে যে ক্ষতি পূরণ করতে সম্ভব হবে না যে টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্য ১২০০০কোটি টাকা খরচ করেছে করোনা প্রতিরোধে। ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য কেন্দ্রের কাছে। এই টাকা পেলে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হত।
কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো আমরা। মানুষের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের এ রাজ্যের ঘনঘন আসাকে কটাক্ষ করে সৌগত রায় বলেন, পরিযায়ী পাখিরা যেমন সাইবেরিয়া থেকে জলাশয় এর খোঁজে চলে আসে তেমনি বিজেপি নেতারা আসছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রাজ্যে আসা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। সৌগত রায় বলেন, উনি ঠান্ডার দেশের মানুষ আবহাওয়া চেঞ্জের জন্য এখানে ঘুরে যেতে পারে।