কলকাতা: শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর ইচ্ছায় ১৯২০ সালের ১৭ নভেম্বর দক্ষিণ কলকাতার কালীক্ষেত্র আদি গঙ্গার তীরে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম শাখা রামকৃষ্ণ মঠ (গদাধর আশ্রম) গড়ে ওঠে। শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য বলরাম বসুর আত্মীয় যোগেশ চন্দ্র ঘোষের একমাত্র পুত্র গদাধরের অকাল মৃত্যুর স্মৃতিতে এই আশ্রমের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ সংঘাধ্যক্ষ শীবানন্দজী মহারাজ। শ্রীরামকৃষ্ণের পূত-অস্থি এই আশ্রমে সুরক্ষিত রয়েছে।
শ্রীমা সারদা বলেছিলেন, ‘কালিক্ষেত্র আদি গঙ্গার তীরে ঠাকুরের আশ্রম হবে, বেশ হবে। আমি সেরে উঠে ওখানে গিয়ে কিছুদিন থাকব।’
যদিও সারদাদেবী এই আশ্রমের উদ্বোধনের সময় অসুস্থ্য থাকায় আসতে পারেননি।মাস্টারমশাই শ্রীমা বহুবার এসেছেন।তিনি এখানে জপ ধ্যান করতেন,কথামৃতের পান্ডুলিপি দেখতেন এখানে বসেই।
একশো বছর পরেই শ্রীমার আশীর্বাদধন্য এই আশ্রম শ্রী রামকৃষ্ণের ভাবধারার প্রচার ও প্রসারে কাজ করে চলছে। সঙ্ঘের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সকাল থেকেই পূজার্চ্চনা, জপ ধ্যান,নানা আলোচনার আয়োজন করা হয় আশ্রম ভবনে। তবে করোনার কারনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনলাইনে পুরো অনুষ্ঠানটি লাইভ দেখানো হয়।
রামকৃষ্ণ মঠ ও গদাধর আশ্রমের বর্তমান অধ্যক্ষ স্বামী অমলাত্মানন্দ মহারাজ বলেন,শতবর্ষ উপলক্ষ্যে অনেক বড়ো করে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু অতিমারির কারনে বাইরের মানুষদের আশ্রমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।সব অনুষ্ঠানটি অনলাইনে দেখানো হয়।