কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে অফিস টাইমে প্রায় ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রেল ও রাজ্যের মধ্যে আয়োজিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন রেল আধিকারিকরা। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে ফের যাত্রীপরিষেবা শুরু হয়। প্রথমদিনের পর্যালোচনায় রেল ও রাজ্য সরকারের নজরে আসে অফিস টাইমে অধিক ভিড়ের বিষয়টি। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে রেল আধিকারিক রা এই নিয়ে পর্যালোচনায় বসেছিল। করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যে যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকে এবং সচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারেন সেই আবেদন দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বেশি করে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই দিনের বৈঠকে দু’পক্ষই আরো বেশি ট্রেন চালানোর পক্ষে সহমত হন। বৈঠক শেষে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন মত রেল কর্তৃপক্ষ আরো বেশি ট্রেন চালানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
পূর্ব রেলের চিফ অপারেটিং অফিসার ইউ কে বল জানান অফিস টাইমে আপাতত 95% ট্রেন চালাবে রেল। পরে তা 100% নিয়ে যাওয়া হবে। যাত্রীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্বও যাতে বজায় থাকে এবং করোনা বিধি মেনে চলতে পারেন সেদিকে নজর রাখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
একশো শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হলে আরও বৃদ্ধি পাবে যাত্রীসংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়া যায় সে বিষয়ে কলকাতার ভবানী ভবনে রেল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে শুরু হয় বৈঠক। হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে সাধারণ সময়ে দেড় হাজারের বেশি লোকাল ট্রেন চালানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে প্রথম দিনে ৫০ শতাংশের কম লোকাল ট্রেন চালানো হয়। তাতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। এই ভিড় কিভাবে সামলানো যায় এবং কিভাবে করোনা বিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে ট্রেন চলাচল করতে পারে সে নিয়েই এদিন বৈঠক আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন:
ট্রেন বাড়ানোর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রেলের শীর্ষ অাধিকারিকরা ছিলেন। লোকাল ট্রেনের সংখ্যা অনেকটা বাড়িয়ে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তাঁরা। যতটা সম্ভব বাড়ানো যায় সে কথা বলেছেন। রেল আধিকারিক ইউ কে বল জানান: অফিস টাইমে ১০০ শতাংশ চালানোর ব্যাবস্থা করবো। এখন ৯৫ শতাংশ ট্রেন চালাবো। প্রথমে এই করোনা পরিস্থিতিতে ৪৬% ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে পরিষেবা চালু করা হয়। ১১ তারিখ থেকে অভাজ্ঞতা থেকে ঠিক করেছি ৯৫ % চালাবো। প্রথম দিনেই ১০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। আগে প্রতিদিন গড়ে ৩০ লাখ যাত্রী ট্রাভেল করতেন। প্রথম দিনে প্রতি ট্রেনে ১২০০ যাত্রী যাত্রায়াত করেছেন। স্কুল কলেজ বন্ধ আছে, তাই এখন কিছুটা যাত্রী কম আছে।