পাত পেড়ে মাংস ভাত, স্থানীয় কাকুদের এই উদ্যোগে খুশী শম্পা, প্রিয়াঙ্কা দের মতো পথ শিশুরা


বুধবার,০৪/১১/২০২০
876

পশ্চিম মেদিনীপুর:– কারো বয়স সাত তো কারো বয়স চার। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই বাটি হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে পেটের ধান্দায়। কারন এরা সকলেই পথ শিশু হিসেবেই পরিচিত এলাকায়৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা, বালিচক প্রভৃতি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই এই বেদুইনরা রয়েছেন৷ সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এর ওর কাছে চেয়ে চিন্তে যা জোটে তাই দিয়েই পেটের আগুন নেভায়৷ কিন্তু দীর্ঘ প্রায় আট নয় মাস করোনার কারনে রাস্তা প্রায় জনমানবহীন। বন্ধ বাজার হাট, স্টেশন চত্বরও ফাঁকা। ফলে এরা পড়েন মহা ফাঁপরে। কোনো দিন এক বেলা তো কোনো দিন না খেয়েই দিন কাটতো এদের। ঠিক সেই সময়ে ডেবরার অশোক রায়, শ্যামপদ মাইতি, আনোয়ার আলি, মন্তাজ আলি, ছোটু আলি দের চোখে পড়ে এই ঘটনাটি। যারা এলাকায় সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। সেই সমাজ সেবীরা এদিন ডেবরা বাজারে সেই অসহায় পথশিশুদের জন্য আয়োজন করলেন পাত পেড়ে মাংস ভাতের৷

এর সাথে ছিল সব্জির তরকারি আর শেষ পাতে মিষ্টি। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খেল প্রিয়াঙ্কা, শম্পা, মঙ্গল, জয়দেরের মতো পথ শিশুরা। খাওয়ার শেষে স্বস্তির এক ঢেকুর তুলে আনন্দে বিগলিত শম্পা প্রিয়াঙ্কা অপরাজিতারা স্থানীয় সমাজসেবী কাকুদের এই আয়োজনে বেজায় খুশি বলে জানিয়েছে। আর নিরবে যারা এই মানবিক আয়োজন করেছিলেন তারা জানান, ” লকডাউন শুরু হওয়ার পরই ডেবরা বাজার এলাকায় বেশ কিছু পথ শিশুদের বাস হয়েছে। রাস্তায় হাত পেতে যা পায় তা নিয়েই কখনো বিস্কুট,কখনও একটু ভাত নিয়ে খেতে হোতো। কেউ আবার পয়সা না দিয়ে মুড়ি বা কেক কিনে দিলেই তবে ক্ষিদে মিটতো তাদের। কোনো দিন ভেট পরে কিছু পেত না তারা। এটা আমরা লক্ষ্য করছিলাম বেশ কিছু দিন ধরেই৷ তাই সেই সব অসহায় পথশিশুদের মুখে একটু হাসি ফোটাতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন। অতিমারির এই পরিস্থিতিতে অন্তত একটা দিন তো পেট ভরে খেলো প্রায় পঞ্চাশ জন পথ শিশু। তারা আরও জানান, আমরা তো সারা বছর ভালো মন্দ খেয়ে থাকি। কিন্তু ওরা কি খেল না খেল তা নিয়ে আমরা কেউ মাথা ঘামায় না৷ তাই ওদের কথা কে মাথায় রেখেই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। আমরা সবার সহযোগিতা পেলে এই কর্মসুচীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট