নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে। লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি অবস্থায় ছিল। করোনা সংক্রমনের জেরে জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই কঠিন সময়ের মধ্যেও অনেক দিন পর কবি-সাহিত্যিকদের পাওয়া গেল এক ছাদের তলায়। সৌজন্যে আনন্দমুখর সাহিত্য পত্রিকা ও পরিষদ আয়োজিত সাহিত্যবাসর। উদ্বোধন হল আনন্দমুখর পত্রিকার পুজো সংখ্যা। পত্রিকার সম্পাদিকা সুপর্ণা রায় বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস চার দেওয়ালের মধ্যে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিন কাটাতে কাটাতে কখন যে শরৎ এসে গেছে দোরগোড়ায়, সেটা বোঝা গেল-আকাশের চেহারায় ও প্রকৃতিতে। কাশবনের আন্দোলনে।
আর শরৎ মানেই বাঙালী মন আন্দোলিত হয় শারোদোৎসবে। পুজোর গন্ধ গায়ে মেখে যেন অজানার ডানা মেলে হারিয়ে যাওয়ার বাসনা। এমন সময়েও পিছু তাড়া করে করোনার থাবা।
অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে “আনন্দ মুখর সাহিত্য পত্রিকা” করোনা বিধি মেনে আয়োজন করেছিল এদিনের সাহিত্যবাসরের। শিয়ালদহ জগৎ সিনেমার পিছনে কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
আনন্দ মুখর সাহিত্য পত্রিকার পুজো সংখ্যা প্রকাশ হয় এদিন। সেইসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সম্মান জ্ঞাপন ও স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী তথা পরিচালক সোনু দাস এর উপস্থিতি অন্য মাত্রা এনে দেয়। করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সচেতন থাকার আবেদন রাখেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে কবি রত্ন স্মারক সন্মান, সুকান্ত ভট্টাচার্য্য স্মারক সন্মান, কাজী নজরুল ইসলাম স্মারক সন্মান, রাস সুন্দরী দেবী স্মারক সন্মান, দেবী সরস্বতী (মূর্তি) প্রদান করা হয় বিশিষ্টজনেদের। এই অনুষ্ঠানে আসাম থেকেও কবি সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিহু নাচে মাতোয়ারা হয় অনুষ্ঠান হল।