হাওড়া,বাগনান: বাগনানে বুলেট বিদ্ধ বিজেপি নেতার মৃত্যু হয় কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে। গত অষ্টমীর রাতে গ্রামীন হাওড়ার বাগনানের চন্দনাপাড়া গ্রামে কিঙ্কর মাজি নামে ওই বিজেপি নেতাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বাগনানের ৫ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি কিংকরবাবু ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। গুলি লাগে তার পেটে। স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে এনআরএস হাসপাতালে রেফার করা হয় ।এনআরএস হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে অস্ত্র পচারও হয় তার। বার করা হয় গুলি। কিন্তু বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল থেকেই ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপি কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে নুনটিয়ার রাস্তা অবরোধ করে। ঘটনার দিন বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালায় বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে। যদিও সেইদিনই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রামীন হাওড়া তৃণমূল। জমি সংক্রান্ত বিবাদে মৃত্যু বলে দাবি করে তারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ ১২ ঘন্টার বাগনান বন্ধের ডাক দেওয়া হয় হাওড়া গ্রামীন বিজেপির তরফ থেকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাওড়া গ্রামীনের বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।বন্ধের বিরোধিতা করে সকাল থেকেই রাস্তায় নামে খোদ বিধায়ক অরুণাভ সেন। সকাল থেকে দোকান বন্ধ থাকলেও তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নেমে সমস্ত দোকানপাট খোলায়।বাগনান থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বাগনান থানায় যেতে গেলে তাকে জাতীয় সড়কে আটকে দেয় পুলিশ। কোনরকমে সেখান থেকে বাগনান থানায় যায় পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন খুনিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে। সেখান থেকে মৃত কিঙ্কর মাঝির বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন সংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সংসদ।অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর কিংঙ্কর বাবুর মৃত্যুর পর জানা যায় তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি।