কলকাতা: একদিকে নিরঞ্জন পর্ব চলছে অন্যদিকে সাফ সাফাই। প্রতিমা নিরঞ্জনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঝা-চকচকে বাবুঘাট। সৌজন্যে কলকাতা পুরসভার তৎপরতা। প্রতিমা নিরঞ্জনের কারণে গঙ্গার জল কোনো ভাবেই যেন দূষিত না হয় সেদিকে কড়া দৃষ্টি রয়েছে কলকাতা পুরসভার। একদিকে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলছে সঙ্গে সঙ্গে সাফাই কাজও চলছে সমান গতিতে। সাফাই কর্মীদের তৎপরতায় বাবুঘাট ফিরে আসছে ঝা-চকচকে হয়ে।
বামফ্রন্টের আমলে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর গঙ্গার ঘাট গুলির হতশ্রী চেহারা ধরা পড়তো। গঙ্গার জলে ও নদীর পাড়ে যত্রতত্র পড়ে থাকত প্রতিমার কাঠামো, পুজোর উপাচার। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে চলতে হতো। রাজ্যে পালাবদলের পর কলকাতার গঙ্গার ঘাট গুলির চেহারা বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে পরিবেশও। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দূষণ প্রতিরোধের। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে আধুনিকতা। ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। সেইসঙ্গে মজুত রাখা হচ্ছে সাফাই কর্মী। প্রতিমা জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ডাঙ্গায় তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগের ভূয়শী প্রশংসা করছেন আমজনতা। প্রশংসা করছেন বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রয়াসেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
দশমীর দিন থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলছে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। এর মধ্যেও গঙ্গার ঘাট গুলির ঝাঁ-চকচকে চেহারা জানান দিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ রক্ষায় কতটা সচেতন রাজ্য প্রশাসন।