অষ্টমীতে বেলুড় মঠের কুমারী পূজার রেওয়াজ থাকলেও মূলত নবমীর দিন বহু জায়গাতেই কুমারী পূজার চল রয়েছে।করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হুগলি জেলার রতনপুর গ্রামের দুর্গাপুজোয় কুমারী মণ্ডপে এলো মুখে মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজারের বোতল নিয়ে। এই অভিনব কুমারী পূজা দেখা গেল হুগলির রতনপুর বাবা কালুরায় জিউ মন্দির সংলগ্ন রতনপুর বারোয়ারি পূজা মন্ডপে। প্রতিবছর নবমীর দিন এখানে কুমারী পুজো হয়।এবছর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কুমারী পূজার রীতিনীতিতেও বেশকিছু বদল আনা হয়।
এবছর কুমারী হন ওই গ্রামের শিক্ষক বিকাশ ভট্টাচার্য্যের কন্যা ঋদ্ধি ভট্টাচার্য। ঋদ্ধি রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। তার স্কুলেই রতনপুর বারোয়ারী পুজোয় কুমারী হয়েছেন ঋদ্ধি। কুমারীকে মূলত উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কোলে করে নিয়ে যাওয়ার রীতি থাকলেও এবছর করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে কুমারীকে পায়ে হাঁটিয়ে মন্ডপে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে মিষ্টিমুখ করানো হয়নি এবং দূর থেকে প্রণাম সারেন এলাকার মানুষ।ঋদ্ধি জানায়, গ্রামের দিকে করোনার প্রভাব ততটা না থাকলেও মূলত সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় সে কথা মাথায় রেখেই তিনি মাস্ক পরে মণ্ডপে এসেছেন। তার বন্ধু-বান্ধবদেরও মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করায় অনুপ্রাণিত করে।