পুজো মামলায় আগের রায়-ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট, দর্শকদের জন্যে ‘নো এন্ট্রি’-ই রইলো পুজো মণ্ডপ


বুধবার,২১/১০/২০২০
1999

কাজে এল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর পুনর্বিবেচনার আর্জি। আগের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এবছরের পুজো মণ্ডপগুলি দর্শকদের জন্যে ‘নো এন্ট্রি’-ই রইলো।

এদিন সকাল থেকেই সকলের নজর ছিল হাইকোর্টের এই রায়ের দিকে। কি হবে রায়, এই উৎকন্ঠা ছিল সকল পুজো উদ্যোক্তার চোখেমুখে। কিন্তু শেষমেশ বদলটা ঠিক সেই ভাবে হল না। এবছর পুজো মণ্ডপগুলি রইলো ‘নো এন্ট্রি’ জোনেই। শুধু ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর আর্জি মেনে বাড়ানো হল প্রতিনিধির সংখ্যা।

এর আগে আদালত জানিয়েছিল বড় পুজো মণ্ডপগুলির জন্যে সর্বাধিক ২৫ জন উদ্যোক্তা পুজোর কাজকর্ম করতে পারবে। এবং ছোটো পুজো মণ্ডপগুলির জন্যে সেই সংখ্যাটা ছিল ১৫ জন। এদিন সেই সংখ্যাটায় বাড়াল আদালত। সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, ৩০০ মিটার পরিধি নিয়ে যে মন্ডপগুলি তৈরি করা হয়েছে সেই মণ্ডপে ৬০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করতে হবে, একইসাথে ঢুকতে পারবেন ৪৫ জন। এবং ছোটো পুজো মণ্ডপগুলিতে একইসাথে ১৫ জন সদস্য ঢুকতে পারবেন। প্রতিদিনই ক্লাব উদ্যোক্তরা এই তালিকার পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে সময় থাকতে সেই তালিকার কথা জানাতে হবে প্রত্যেক ক্লাব সদস্যকে। এবং সকাল ৮টার মধ্যে সেই নতুন তালিকা তুলে দিতে হবে পুলিশের হাতে।

একই সাথে ঢাকিদের বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন বিচারপতিরা। ‘নো এন্ট্রি’ জোনের মধ্যে থাকবেন ঢাকিরা। সেখান থেকেই ঢাক বাজানো হবে। ঢাকিদের মুখে রাখতে হবে মাস্ক, আর সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজার। এছাড়াও ঢাকিদের দিতে হবে পুষ্টিযুক্ত খাবার। সেই দায়িত্বও নিতে হবে ক্লাবগুলিকে। আপাতত, হাইকোর্টের এই রায় মেনেই হবে এবছরের দুর্গাপুজো মহোৎসব।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট