।। অনুভবের কৈশোর ।।
অর্চিষ্মাণ নন্দী,
অষ্টম শ্রেণী, সেন্ট অ্যাগনেস স্কুল,খড়গপুর
জীবন বাহিত হয়নি বিশেষ,
সবে কৈশোর কালে
তবু ক্ষুদ্র জীবনে যত অনুভব,
আঘাত দিয়া মোরে করেছে নীরব
রচিত তাহার সকল হরপ,
এই মৃত পুঁথি কঙ্কালে।
আজিকার দিনে শিশুরা যেন হারায়েছে শৈশব
‘গ্রন্থকীট হইব না মোরা’ –এই মহা কলরব।
চন্দ্রমার মধুর আলোক, হার মানে যার মিষ্ট হাসিতে,
সে হাসি ফুরায়েছে আজ, দুচোখ ভরা বারিতে।
না রয়েছে সুখ, না রয়েছে শান্তি, না কোন শৈশব,
আজিকার রণে, জিনিবার তরে, শিশুরা যন্ত্র–মানব?
সুন্দর এ ধরা, শস্য–শ্যামলা, নীলাভ সাগর মাঝে,
বৃথা এ জন্ম, যদি নাহি পারে কেহ, মজিতে অপরূপ সাজে।
আসিয়াছি একেলা, যাহিব একেলা, ইহাই শ্রেষ্ঠ সত্যি–
পার্থিব সম্পদ, রহিবে পার্থিবে – দেবে না মোর সংগতি।
তবে বৃথা এ পণ্ডশ্রম? খেটে মরে সর্বজনে,
সর্বসম্পদ, এ–ধরার খনিজ, যাহিবে না কারো সনে।
নাহি কোন লাভ হইয়া গ্যালিলিও,
মরিবে দৃঢ় প্রাণে,
উপকৃত হইবে সর্ব–মানব,
স্বীকার না করিবে কেহজনে।
না কোন লাভ, হইয়া সুভাষ
হইবে বিতাড়িত নিজ দেশে,
মুক্ত ভারত দেখিবে সূর্য
সুভাষ রহিবে ঘন–নিশে।
পৃথিবী তোমারে না দেবে ঠাঁই,
কিন্তু রহিবে তোমার ধর্ম।
এ ধরা নিজ,স্বার্থ তরে রাখিবে সর্বকর্ম,
না রাখিবে তোমারে আমারে,- স্মরণে নারিবে কখনো।
তবে মিছে কেন লব কষ্ট ও ক্লেশ?
না লহিব কোন দায়–
জীবন না মিলিবে বারংবার,
তাই মজে লও, যত মন চায়।
***********