ঝাড়গ্রাম:- বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আগে এই জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও অগস্ট মাস থেকে সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এই জেলায় ১৮৭ জন অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন বাইরের রাজ্য থেকে আসা লরিই এর জন্য দায়ী। তিনি বলেন, ‘‘চেন্নাই-মুম্বই থেকে লরি আসে। এই লরির চাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। যেমন কাপড়জামা, বাজারের থলি থেকে ছড়ায়। তেমন হলে মাঝেমধ্যে চাকার ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা যেতে পারে।’’
ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে যাতে একটিও মানুষ বঞ্চিত না হয়, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এছাড়াও সমস্যায় পড়লেই সাধারণ মানুষকে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে পথশ্রী প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, “পথশ্রী প্রকল্পের কাজে বাধা দেবেন না। টেন্ডার নিয়ে কোনও গন্ডগোল যেন না হয়। সব পঞ্চায়েত, সব রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলছি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলে সোজা থানায় যান। সরকার জনগণের। কোনও রাজনৈতিক দলের নয়।” ঝাড়গ্রামে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বিরোধীদেরও খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রামে অনেক কাজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও যারা বড় বড় কথা বলছেন তারা আগে নিজেরা একটু কাজ করে দেখান।” নির্বাচনের আগে যাতে নতুন করে ঝাড়গ্রামে কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।এছাড়াও এদিন ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পতিত জমিকে উর্বর করে কাজে লাগানোর কথা আগে কেউ ভাবেনি। অনেক কাজ নতুন মাটি থেকে যে কী সৃষ্টি হতে পারে তা মাটিকে যে না ভালবাসে সে বুঝতে পারবেন না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কমপক্ষে ৫ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন। এর আগে চেকড্যামও আমরা করেছিলাম।”