ঝাড়গ্রাম:- ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উন্নয়নের হাত ধরে কী ভাবে ঝাড়গ্রামের চেহার বদলে গিয়েছে দিলেন তাঁর ব্যাখ্যা৷ পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি৷ কী ভাবে মাটির সৃষ্টির কাজ হচ্ছে, পথশ্রীর কাজ হচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা হল প্রশাসনিক বৈঠকে৷
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান-সহ মোট ছ’টি জেলার পঞ্চাশ হাজার একর অনুর্বর জমিতে বিভিন্ন কাজ করা হবে মাটির সৃষ্টি পরিকল্পনায়৷ ঝাড়গ্রামে ১৬০ একর জমির উপর ইতিমধ্যেই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ৪৮০ জন কৃষক ও স্থানীয় মানুষ এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন৷ পতিত জমি, যেখানে কোনও দিনও ফসল ফলেনি, সেই ধরনের জমিতেই থেকেই খুলে দেওয়া হবে উপার্জনের পথ৷ এর ফলে আড়াই লক্ষ লোকের কর্ম সংস্থান হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, এই প্রকল্প গোটা পৃথিবীকে নতুন পথে দেখাবে৷ অনুর্বর, পতিত জমিকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, কী ভাবে উর্বর করা হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই কাজই করে দেখানো হবে৷ যা কর্মসংস্থানের নতুন পথও খোলার পাশাপাশি এলাকার উন্নতি সাধনও হবে৷
রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পে গত কয়েক বছরে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার পথ গ্রামাঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও বাম জমানা মিলিয়ে বাংলায় মোট ৯২ হাজার কিলোমিটার সড়ক পথ ছিল৷ গত আট বছরের মধ্যে তা সাড়ে ৩ লক্ষ কিলোমিটারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে৷ ২০১১ সালে প্রথম আমলাশোল থেকে ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ নির্মাণ শুরু করা হয়েছিল৷ এর পর ভাঙড় থেকে শুরু হয়েছিল ২৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ৷ এভাবে প্রায় ২৪৪ ভাগ কাজ বাড়ানো হয়েছে৷ সেই কাজকে রক্ষা করতে হবে৷
এছাড়াও মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরানো হয়েছে৷ কয়েক হাজার ছেলেমেয়েকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ পাঁচ বছর যাঁরা সার্ভিস করছেন তাঁদের জুনিয়র কনস্টেবল থেকে কনস্টেবল করে দেওয়া হচ্ছে৷ ১ লক্ষ ২০ হাজার সিভিক পুলিশ নেওয়া হয়েছে৷