বাংলাদেশে ছুটিতে আসা সবাই সৌদি যেতে পারবেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সোমবার,২৮/০৯/২০২০
716

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: ছুটিতে দেশে এসে করোনাভাইরাসের কারণে আটকেপড়া সৌদি আরব প্রবাসীরা শিগগিরই দেশটিতে ফিরতে পারবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, যাদের ইকামা, ভিসা আছে, দেশে এসেছেন ছুটিতে তাদের সবাই সৌদি আরব যেতে পারবেন, কোনো জটিলতা হবে না। এজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ফরেন সার্ভিস একাডেমি সুগন্ধাএর নবনির্মিত কমপ্লেক্স উদ্বোধন হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের ইকামা আছে, সৌদিতে চাকরি আছে, কিন্তু দেশে এসেছিলেন, তারা সবাই ফেরত যেতে পারবেন। ভিসা নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না। এর জন্য আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। কারও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ইকামা থাকলে তাদের আবার ভিসা দেওয়া হবে। সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীরা করোনাভাইরাসের কারণে এবং ছুটি কাটাতে দেশে আসার পর বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা আটকা পড়েন। তাদের আকামার সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।

এর মধ্যে ফিরতে না পারলে আর বৈধভাবে তাদের সৌদি আরবে যাওয়ার উপায় থাকবে না। এরই মধ্যে তৈরি হয় ফ্লাইট নিয়ে জটিলতা। ভিসার মেয়াদ বাড়ানো ও টিকিটের জন্য কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করেন সৌদি প্রবাসীরা। তিন দিনের বিক্ষোভের পর অবশেষে আসে সমাধান। আকামা মেয়াদ ২৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় সৌদি সরকার। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন ভিসা দেয়াও। একইসঙ্গে সৌদিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অবতরণের অনুমতিও মেলে। চলতি মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখ রিয়াদ ও জেদ্দায় যাবে দুটি বিশেষ ফ্লাইট। এরপর থেকে সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে সোনারগাঁও হোটেলের সৌদি এয়ারলাইনসের বুথের সামনে ভিড় করেছেন প্রবাসীরা। সৌদি প্রবাসীদের টিকিটের ভিড় নিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, যদিও বিষয়টি দুঃখজনক, কিন্তু যারা আগে থেকে টোকেন নিয়েছিলেন, তারা তো আগেই যাবেন।

পর্যায়ক্রমে সবাই যাবেন। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমির নতুন কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্যে একে মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব গ্রহণের পর সবসময় শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্র্যান্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের ৫৯টি শান্তি মিশনের ৫৪টিতেই কাজ করছে বাংলাদেশ। আর এতে এক লাখ ৬৩ হাজার ১৮১ জন নারী ও পুরুষ শান্তিরক্ষী কর্মী কাজ করছেন। আজ আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের মিশনের সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করেছি। বিদেশে অবস্থানরত যারা আছেন, তাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করেছি। এই ভবন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হিসেবে কাজ করেছে। আজকের যে অর্জন তার শুরুর অনেক কিছুর সাক্ষী এই সুগন্ধা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট