ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: চট্টগ্রাম নগরের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা বিআরটিসির বাসগুলোতে একটি করে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেছেন, ‘যাত্রীরা যেকোনো অভিযোগ এই বক্সে ড্রপ করতে পারবেন। আর সেসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বাসের চালক–কর্মচারীদের তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হবে।’ ২১ সেপেম্বর সোমবার বিকেলে সিইপিজেড শাহেনশাহ টাওয়ার চত্বরে বিআরটিসি এসি/নন এসি স্পেশাল সিটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের একের পর এক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নতি লাভ করেছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে যেকোনো পণ্যসামগ্রী সহজে দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়। নগরায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরে যন্ত্রচালিত যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশে পরিবহন খরচ তুলনামূলকভাবে কমেছে।’ তিনি বলেন, ‘কাঠগড় থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে নগরবাসীর অনেকদিনের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা ছিল। বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করে গণপরিবহনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ লাঘবে কিছুদিন আগে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠাই।
একইসঙ্গে মন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি আলাপ করে বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে অতি অল্প সময়ের মধ্যে নগরে গণপরিবহনের স্বল্পতা দূরীকরণে ১৮টি ডাবল ডেকার ও ৪টি এসি বাস দেন। এ জন্য আমি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।’ চসিক প্রশাসক বলেন, ‘বিআরটিসির বাস একটি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। এর সঠিক সেবা প্রাপ্তি প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। এ অধিকার প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত ঘটলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করুন।’ এ সময় যেকোনো ধরনের সমস্যায় সরাসরি প্রশাসকের মোবাইল ফোনে জানানোর অনুরোধও করেন তিনি। গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইদানীং কিছু কিছু জায়গায় গণপরিবহনে নারীদের শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটছে। বাসে যাতে কোনো নারী ইভটিজিংয়ের শিকার না হয় সেজন্য প্রত্যেক যাত্রীসাধারণকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, একজন নারী কোনো না কোনোভাবে আমাদের আমানত।’ এ সময় উপস্থিত যাত্রীরা প্রশাসককে অভিযোগ করেন, বিআরটিসির বাস নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার আগেই মাঝপথে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং সিট ক্যাপাসিটির বাইরে যাত্রী পরিবহন করে। প্রশাসক বলেন, ‘মাঝপথে যাত্রী নামানো যাবে না এবং সিট ক্যাপাসিটির বাইরে যাত্রীও পরিবহন করা যাবে না’। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ–পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ বড়ুয়া, বিআরটিসির কর্মকর্তা মাসুদ তালুকদার, মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ।