বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী রয়েছে বিপাকে


মঙ্গলবার,১৫/০৯/২০২০
763

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও দেশে এখনো তাদের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিশেষ এই জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান অবস্থা বিবেচনা করে তাদের কল্যাণে কোনো জাতীয় পরিকল্পনা বা সময়সীমাভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা জরুরি। অন্যথায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এমনকি আদমশুমারিতেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। বাংলাদেশের তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী রয়েছে বিপাকে। ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির নিজস্ব কার্যালয়েতৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর অধিকারবিষয়কআয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার এম আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক মো. শাহাদাত হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস ও এসটিডি প্রোগ্রামের পরিচালক ড. এনামুল হক। সভায় বক্তারা বলেন, তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে হিজড়া জনগোষ্ঠী স্বীকৃতি পেলেও তা সাংবিধানিকভাবে পূর্ণতা পায়নি। আবার যতটুকু স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

ব্যাংক ঋণ দেওয়ার বিধান থাকলেও তারা ঋণসুবিধা পাচ্ছেন না। বক্তারা বলেন, তাদের বিষয়ে প্রত্যেকেরই যার যার অবস্থান থেকে দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। তাছাড়া প্রতিবন্ধী কল্যাণ তহবিলের মতো হিজড়াদেরও একটি কল্যাণ তহবিল থাকা প্রয়োজন। এ সময় তারা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার এবং শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা আরো বলেন, জনশুমারিতে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষের সংখ্যা ও অনুপাত প্রকাশ করা হয়, কিন্তু নারী ও পুরুষের বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো পরিসংখ্যান কখনোই আমরা পাই না। শুমারি থেকে তারা বরাবরই বাদ পড়ে যান। যেখানে তাদের সংখ্যাই অজানা, সেখানে কি উন্নয়ন হবে। আশা করছি, ভবিষ্যতে যে আদমশুমারি করা হবে সেখানে অবশ্যই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তারা বলেন, গত কয়েক বছরে এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

তাদের ট্রাফিক পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে সামাজিকভাবে গ্রহণ না করার কারণেই চিকিত্সা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানা স্থানে বিভিন্নভাবে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ থেকে বেশি আইনগত অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশে এই নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালক মো. মেসবাহউল বিরাজ। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন এফপিএবির প্রোগ্রাম অফিসার দেওয়ান তানভীর আহমদ। সভায় এফপিএবি, ব্র্যাক, পদ্মকুঁড়ি, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, টিডিএইচ নেদারল্যান্ড, সুস্থ জীবন, লাইটহাউস, সাদাকালো, বাংলাদেশ সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক, অবয়ব ও আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট