ঝাড়গ্রাম:- স্বাদে ও সুগন্ধে অনন্য লালমাটির দেশে উৎপাদিত মোসাম্বি। যা রীতিমত টেক্কা দিচ্ছে নাগপুর বা হিমাচল প্রদেশের মোসাম্বিকে। করোনার আবহে ভিটামিন সি যুক্ত মোসাম্বি ফলের চাহিদাও বেড়েছে। ঝাড়গ্রামের মোসাম্বি এখন ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বেনারসেও পাড়ি দিচ্ছে। যার ফলে মুখে হাসি ফুটেছে মোসাম্বি বাগান লিজ নেওয়া মালিকদের।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাড়গ্রাম ক্যাম্পাসের প্রায় একশো একর এলাকায় রয়েছে মোসাম্বি বাগান। ২০১৪ সালে প্রথম নাগপুর থেকে চারা এনে এখানে বাগান তৈরি করা হয়েছিল। তারপর লালন-পালন করে তা বড় করে তুলেছেন ক্যাম্পাসের বিজ্ঞানী থেকে কর্মীরা। এখন যা থেকে ফলন হচ্ছে। লালমাটির দেশে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে লাগালেও যে মোসাম্বি বাগান সম্ভব তা করে দেখিয়েছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাড়গ্রাম ক্যাম্পাসের বিজ্ঞানীরা। ফলের সময় প্রতি বছর ক্যাম্পাস থেকে লিজ দেওয়া হয় ব্যক্তি মালিকানার উপরে। টেণ্ডারের মাধ্যমে সেই বাগান লিজ দেওয়া হয়। তারপর সেই বাগানের পরিচর্যার পাশাপাশি ফল তোলা সব কিছুর কাজ করেন লিজ নেওয়া মালিক পক্ষের লোকজন। এই মূহূর্তে বাগানের পরিচর্যা থেকে ফল তোলার কাজে ২০ জন কর্মী কাজ করছেন।আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে মোসাম্বি ফল তোলার কাজ। যা চলবে এখন প্রায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।