ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে ১ হাজার ১১৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার সাহায্য দেবে। ত্রি–বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আগামী ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল– এই তিন বছরে এই উন্নযন সহায়তা দেয়া হবে বাংলাদেশকে। ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি। সংস্থাটির কান্ট্রি অপারেশন বিজনেস প্ল্যানে (সিওবিপি) বলা হয়েছে, ১ হাজার ১১৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের মধ্যে ৫৯৩ কোটি ৮০ লাখ্ ডলার ফার্ম প্রজেক্ট বা নিশ্চিত, ৫১৭ কোটি ডলার স্ট্যান্ডবাই এবং ৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার কারিগরি সহায়তা বা অনুদান। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গবিন্দ বার বলেন, ‘ফার্ম প্রজেক্টের অর্থগুলো হলো নিশ্চিত।
এগুলো সরকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে, সরকারও নিশ্চিত করেছে। স্ট্যান্ডবাই প্রজেক্টে একটা অতিরিক্ত তালিকা রাখা হয়, যদি এই ফার্ম প্রজেক্ট থেকে কোনোটা না হয় বা ফেল করে, তখন স্ট্যান্ডবাই প্রজেক্টের তালিকা থেকে করা হবে। সেটা যদি না করা হয়, তাহলে ফার্ম প্রজেক্টে যে টাকা বরাদ্দ আছে, সেটা ফেরত চলে যায় বা অব্যবহৃত থেকে যায়। সেটা যাতে না হয়, সে কারণে স্ট্যান্ডবাই প্রজেক্টে করা হয়। আর টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো আমরা কিছু অনুদান দিই সরকারকে বিভিন্ন ক্যাপাসিটি তৈরির জন্য, লার্নিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই সময় আমরা সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছি, যাতে করে বাংলাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে এবং গুণগত প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে। স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, দক্ষতা উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, আর্থিক খাত ও অন্যান্য খাতেও আরও সহযোগিতা করা হবে। তার মধ্যে জলবায়ু মোকাবিলা, নারী–পুরুষ বৈষম্য দূর ও উন্নয়নে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা করাকে গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি বেসরকারি খাত, সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব প্রকল্প এবং বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।’