শর্তসাপেক্ষে লোকাল ও মেট্রোয় সবুজ সংকেত রাজ্যের


বুধবার,২৬/০৮/২০২০
1066

কলকাতা : এখনই লকডাউন থেকে সরে আসছে না রাজ্য। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেপ্টেম্বর মাসেও সাপ্তাহিক কমপ্লিট লকডাউন জারি থাকবে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন লকডাউনের নতুন দিনও ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর, ১১ সেপ্টেম্বর ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের পূর্ণ লকডাউন হবে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে মেট্রো চললে রাজ্যের আপত্তি নেই। এ ব্যাপারে মেট্রো কর্তৃপক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। লোকাল ট্রেনের এক চতুর্থাংশ চললে আপত্তি নেই রাজ্যের। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। মমতা বলে রেল কথা বলুক রাজ্যের সঙ্গে। এমনকি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও অনেকটা নরম মনোভাব দেখালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।সপ্তাহে তিন দিন বিমান চললে তাঁর আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর মাসে লকডাউনের নতুন দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে তিনি বলেন, ‘৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফের পূর্ণ লকডাউন হবে। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। সামাজিক দূরত্ব মেনে মেট্রো চললে আপত্তি নেই। এ ব্যাপারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কথা বলতে পারে। হটস্পট শহর থেকে সপ্তাহে ৩দিন বিমান চললে আপত্তি নেই। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে ৩দিন উড়ানে আপত্তি নেই।’

মমতা আরও বলেন, ‘বাংলায় সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বাড়ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি পাবেন ৩৯ লক্ষ মানুষ। সরাসরি প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে টাকা। জগৎবল্লভপুরে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, সাহায্য রাজ্যের। ১০ লক্ষের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ শ্রমিককে কাজের ব্যবস্থা। পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে রাজ্য সরকারই। বন্দরে আর কারা যুক্ত হবেন, পরে ঠিক হবে।’মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের উদ্দেশেও তোপ দেগেছেন। বলেছেন, ‘জিএসটি বাবদ বকেয়া কোনও টাকাই দিচ্ছে না কেন্দ্র। ৩-৪ মাস ধরে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরি, জিএসটি বাবদ টাকা পাচ্ছে না কোনও রাজ্য। আমরা ভিক্ষে চাই না, বকেয়া টাকা কেন দিচ্ছে না? করোনার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ। কত টাকা দিয়েছেন? কেউ কেউ আবার হিসেব চাইছে? টাকা না দিয়ে কেন কৈফিয়ত চাইছেন কেন? ফান্ড হিসেবে যে টাকা পেয়েছেন, ভাগ করে দিন।’ মমতা যোগ করেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে তখন নিন। কষ্ট দিয়ে কেরিয়ার করবে, জীবন দিয়ে নয়।’

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট