হাওড়া: ভরা কোটালের প্রবল জলের চাপ বাড়ছে আমতারউপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মুন্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণ নদীতে। জলের চাপ বাড়ার ফলে আমতা-২ নং ব্লকের দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা- চিতনান গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ।বিঘার পর বিঘা জমির ফসল জলের তলায়। এলাকার সমস্ত পুকুর জলাশয় ডুবে গিয়েছে । জোয়ারের সময় জল চুকছে।আবার ভাটার সময় জল নেমে যাচ্ছে । আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস যে রবিবার আবার নতুন করে নিন্মচাপ সৃষ্টি হবে।তার ফলে পুনরায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত হবে। তাই এখানকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এখন থেকে এই ভাবে জল গ্ৰামে ঢুকতে থাকলে তার উপর ডিভিসি জল ছাড়তে থাকলে আরো ভয়ঙ্কর প্লাবিত হবার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকার মানুষ। শনিবার সকালে আমতা-২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন।
তিনি জানান ইতিমধ্যে জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। মৎস্যজীবী ও চাষীদের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণের তথ্য খতিয়ে দেখে ক্ষতির পরিমাণ দেওয়া হবে।তিনি জানান, আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানব দরদি কৃষক দরদি সরকার । তাই আমি আশা করছি নিশ্চয়ই সমস্ত কিছু বিচার করে সরকার কৃষক ও মৎসচাষীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবে।তিনি আরও জানান, শুধু আজকে নয়, প্রথম দিন থেকেই আমি, কৃষি কর্মদক্ষ, বনভূমি কর্মধক্ষ ও প্রধান-উপপ্রধান এলাকা পরিদর্শন করছেন। আমতা দুইয়ের ঘোড়াবেড়িয়া , চিতনান-ভাটোরা অঞ্চলে রূপনারায়ণ নদীর জলচ্ছাসে বন্যা প্রতিবছরই হয় । এখানে এখন ফসলের জমিতে জলে ভেসে গিয়েছে । পুকুর খাল বিল জলে ডুবে গিয়েছে । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বন্যা, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি এবারও এখানকার কৃষক ও মৎসচাষীদের পাশে সরকার থাকবে।