কলকাতা : মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে যদি কোনও নেতা সমস্যা তৈরি করে, ভয় পাবেন না। যত বড় নেতা হন না কেন, যাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ থাকুক না কেন, তাঁকে আজকের ভিডিও দেখিয়ে বলবেন, আমি আপনার চেয়েও অভিষেক ব্যানার্জির বেশি কাছের। তাও যদি সমস্যা না মেটে, সোজা থানায় এফআইআর করুন। কপি পাঠান আমাকে। বাকিটা আমি দেখবো।
দেগঙ্গার যুবযোদ্ধা সুবীর দাসের প্রশ্ন ছিল, কাজ করতে গিয়ে কোনও নেতা সমস্যা তৈরি করলে বা দুর্নীতির কোনও অভিযোগ থাকলে কী করব? সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি এ কথা বলেন পাশাপাশি জানিয়ে দেন, আপনাদের কাজ মানুষের পাশে থাকা। এজন্য কোনও নেতাকে পরোয়া করার দরকার নেই। বাংলার যুব শক্তি কর্মসূচির প্রথম ইন্টারেকটিভ সেশনে যুবযোদ্ধাদের এমনই বার্তা দিলেন অভিষেক ব্যানার্জি।
গত ১১ জুন শুরু হয় যুব তৃণমূলের বাংলার যুবশক্তি কর্মসূচি। লক্ষ্য ছিল প্রথম ১ মাসে ১ লক্ষ যুবযোদ্ধা নিয়োগ। সেই লক্ষ্য পূরণ হয় মাত্র ১০ দিনে। আজ বাংলার যুবযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ। কিন্তু কীভাবে হবে কাজ, দায়িত্ব পালনের দিশানির্দেশ কী, যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে বুধবার যুবযোদ্ধাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। মডারেটর হিসেবে ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা সোহম। সেই আলাপচারিতায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা যুবযোদ্ধাদের দিশানির্দেশ দেন অভিষেক, সেইসঙ্গে শোনেন তাদের বক্তব্য। অভিষেক ব্যানার্জির সাফ কথা, মানুষের পাশে থাকতে গেলে যদি কোনও নেতা সমস্যা তৈরি করেন, তাদের বরদাস্ত করা হবে না।
এদিন যুবযোদ্ধাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অভিষেক ব্যানার্জি। বলেন, করোনা-আমপান বিধ্বস্ত বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। যুবযোদ্ধারা মানুষের পাশে থেকে যদি কাজ করতে পারেন, প্রাপ্য সম্মান দেবেন তিনি। প্রয়োজনে নিজের পদ ছাড়তেও দ্বিধা করবেন না, বলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। পাশাপাশি সাফ জানিয়ে দেন, যুবযোদ্ধাদের কাজে তৃণমূলের কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে প্রথমে হুঁশিয়ারি তারপরও সমস্যা না মিটলে থানায় এফআইআর করতে যেন দ্বিধা না করেন যুবযোদ্ধারা।
নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে সমস্ত যুবযোদ্ধার সঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জি নিজে যোগাযোগ রাখবেন। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে ড্যাশবোর্ড, যেখানে নিজের কাজ ও সমস্যা নথিভুক্ত করতে পারবেন যুবযোদ্ধারা।
অভিষেক ব্যানার্জির কথায়, আমাদের যুবযোদ্ধার যা সংখ্যা তা দিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের আড়াই কোটি মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব। পরবর্তীতে যুবযোদ্ধার সংখ্যা যত বাড়বে, ততই উপকৃত মানুষের সংখ্যাও বাড়বে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, এই লড়াই আমার-আপনার ব্যক্তিগত লড়াই নয়, এই লড়াই বাংলাকে আবার বিশ্বের দরবারের সম্মানের সঙ্গে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার লড়াই। বঞ্চনার ইতিহাসকে মোছার লড়াই। এই লড়াই লড়বে বাংলার যুব সমাজ।