ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: সীমান্তে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড’ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ১৯ আগস্ট বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সীমান্ত হত্যার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আগামী মাসে বিজিবি–বিএসএফের মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক আছে। বৈঠকের আগে নতুন বিএসএফ ডিজিকে তিনি এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। গত ৬–৭ মাস নিহতের সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এ বিষয়ে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়েছে। আমরা তাদের সমর্থন দিয়েছিলাম। নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এর আগে বেশ কয়েকটি রেজুলেশন নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি স্থায়ী সদস্যের কারণে আটকে যায়।
জাতিসংঘে এই ইস্যুতে তারা সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, যেহেতু প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে তারা অবহিত, এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তারা রাখাইনে কিছু অবকাঠামো তৈরি করেছে যাতে প্রত্যাবাসনের পর থাকতে পারে। দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে বুঝিয়ে রাজি করানোর আহ্বান জানিয়েছি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দু’দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় আছে। আশা করছি দ্রুত করে ফেলতে পারব। তিস্তা সেচপ্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে উভয়দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠকে পরস্পরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মূলধারার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কারণে ওইভাবে বসা হয়নি। দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে উভয় দেশের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।