৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাইকেলে করে ১০০ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবেন কার্তিক ধাড়া


শনিবার,১৫/০৮/২০২০
690

হাওড়া: ভারতের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন মনে। দেশ ও সমাজের জন্য প্রান উৎসর্গ করায় লক্ষ তাঁর।তাই ১৫ ই আগস্ট, ২৩ শে জানুয়ারি কিংবা ২৬ শে জানুয়ারি  এই বিশেষ দিন গুলোতে সারা শরীরজুড়ে শিহরন বয়ে যায়। নিজের সাইকেল সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন দূরদূরান্তে। লক্ষ্য সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া।৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাইকেলে করে ১০০ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবেন বলে জানিয়েছেন  জয়পুর থানার ঝামটিয়া গ্রামের  ২৬ বছরের যুবক কার্তিক ধাড়া।এদিন সকালে তিনি তাঁর বাড়ি থেকে সুসজ্জিত সাইকেল নিয়ে জয়পুর,আমতা,ফতাপুর,বাগনান,খাজুট্টি,বাকসী হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ঝামটিয়া পৌঁছান । তাঁর শরীরে তেরঙ্গা গেঞ্জি মাথার উপরের ভারতের জাতীয় পতাকা। ১০ ফুট লম্বা বাঁশের মধ্যে তেরঙ্গা বেলুন দিয়ে সাজানো হয় সাইকেলটি এছাড়াও দেশাত্মবোধক মূলক গান সারা রাস্তায় চলতে থাকে।বছরের বিশেষ তিনটি দিনে কার্তিক আর তাঁর সাইকেল বেরিয়ে পড়ে দূরের ঠিকানায়। ২৩ জানুয়ারি, ২৬ জানুয়ারি আর ১৫ অগস্ট।

যে দিকে যত দূর পাড়ি দেওয়া যায়, কার্তিক আর তাঁর সাইকেল অক্লান্তে তা দেয় এই তিন দিনে। মেঠো পথে বেসামাল উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় কার্তিকের তোলা সুর- ‘সুজলাং, সুফলাং, মলয়জশীতলাং।’ এ ভাবেই ২০১৬ থেকে পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার, দাবি কার্তিকের।সাইকেল চালাতে চালাতে রাস্তায় ধারে দাঁড়িয়ে পথচলতি মানুষের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দিয়ে তাদের করোনা সচেতনতা বার্তাও দিতে থাকে।অত্যন্ত গরীব ঘরের যুবক কার্তিক। খড়ের চালের ঘরে বাবা, মা, ভাই বোনের সঙ্গে দিনমজুরের কাজ করে কোনোরকমে দিন গুজরান কার্তিক। নিজস্ব জমি বলতে কিছুই নেই। ভাগচাষী বাবা সনাতন ধাড়ার সঙ্গে কাজ করে দিন কাটান কার্তিক। সংসারে অভাব অনটন থাকলেও, এই ক’টি দিন এলেই বুক কেঁপে ওঠে কার্তিকের। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা তাঁকে আপন ভোলা করে দেয়। তাই ২০১৬ সালের পর থেকে নিজের খেয়ালেই তেরঙ্গা পতাকা ও বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলে সাইকেলটাকে।ঝামটিয়া গ্রাম থেকে এই কয়েকটা দিন কাকভোরে বেরিয়ে পড়েন সুসজ্জিত সাইকেল নিয়ে। সারাদিন সাইকেল চালিয়ে সকলের কাছে দেশ প্রেম আর সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেন। পথে কোথাও জাতীয় পতাকা তোলার অনুষ্ঠান হলে দাঁড়িয়ে পড়েন শ্রদ্ধা জানাতে। ব্যাস এতটুকুতেই তার আনন্দ। তিনি জানান, সমস্ত এলাকার মানুষ তাঁর সাইকেল যাত্রাকে ভীষনভাবে সমাদর করেছেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী এমনকি পুলিশ প্রশাসনের কর্তারাও তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। দেশপ্রেমের বার্তা পৌছাতে এসে মানুষ তাঁকে আপ্লুত করেছে। আগামী দিনে তিনি একিভাবে আরও নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে মানুষের কাছে দেশ প্রেম ও সম্প্রীতির বার্তা প্রচার করতে চান বলে জানান।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট