কলকাতা : একদিকে যখন করোনার দাপট ঠিক সেইসময় অন্যান্য বছরের মতো চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। আজ সল্টলেকে নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি ছাড়া হল। কেএমডিএর আবাসন এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্প্রে, ব্লিচিং পাউডার ছড়াবে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম তিনটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ির উদ্বোধন করেন সল্টলেকের নগরোন্নয়ন ভবন থেকে।
তিনি জানান, বিভিন্ন পৌরসভা ডেঙ্গি সচেতনতা শুরু করেছে। সাথে সাথে কেএমডিএ তাদের বিভিন্ন আবাসন এলাকায় সচেতনতা শুরু করেছে। ব্লিচিং পাউডার, স্প্রে দিয়ে যাতে মশা মুক্ত থাকার চেষ্টা করে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবছর ডেঙ্গির দাপট কিছুটা হলেও কম কারণ করোনার জন্য সাধারণ মানুষ অন্যান্য সময়ের তুলনায় সচেতন আছেন। কম বেরোচ্ছেন এবং চায়ের ভাঁড় ডাবের খোলা কম রাস্তায় পড়ছে যার ফলে জল জমে ডেঙ্গির জীবাণু বৃদ্ধি হতে পারছে না। কলকাতা কর্পোরেশনের তিনটি এলাকা অর্থাৎ দক্ষিণ কলকাতা, চেতলা এলাকা এবং উত্তর কলকাতার কেএমডিএ এর আবাসন গুলোতে এই প্রচার গাড়ি যাবে এবং কর্মীরা ফগ মেশিন দিয়ে স্প্রে করবে। কেএমডিএ তার আবাসন গুলোতে করছে। এছাড়াও কলকাতা কর্পোরেশন নিজেদের মতো করে সচেতনতা এবং স্প্রে, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কাজ করছে। সবাই মিলে হাতে হাত ধরে করছি।
রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। মমতা ব্যানার্জি আগেই বলেছেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। সুতরাং উনি রাজ্যের রাজ্যপাল নাকি উনি কেন্দ্রের মুখপাত্র আমি জানি না। তবে যেটা বলছেন সেটা অসত্য বলছেন। তার কারণ প্রধানমন্ত্রীর সামনে মুখ্যমন্ত্রী বারবার ভেঙে বলেছেন এবং ভেঙে বলেছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী চুপ করে ছিলেন কিছু বলতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর কথা যদি রাজ্যপাল বলেন তাহলে ওনার নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র হওয়া উচিত ছিল। রাজ্যপাল হওয়া উচিত ছিল না।