রাজ্য সরকারি কর্মীর স্বাস্থ্য প্রকল্পে করোনার চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করল মমতা ব্যানার্জির সরকার


মঙ্গলবার,১১/০৮/২০২০
1016

কলকাতা : সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মীর স্বাস্থ্য প্রকল্পে করোনার চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করল মমতা ব্যানার্জির সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মী, পেনশন প্রাপক ও তাঁদের পরিবারের নথিভুক্ত সদস্যরা এর সুবিধা পাবেন বলে খবর।

ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমে নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হলে, করোনা চিকিৎসার খরচের বিল পেশ করে সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার সুযোগ বা রিইমবার্সমেন্ট পাওয়া যাবে। রাজ্য অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেল গত ৬ অগাস্ট এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সংশ্লিষ্ট তারিখ থেকেই এই সুবিধা কার্যকর হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।এই বিজ্ঞপ্তিতে নথিভুক্ত হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা, পিপিই সহ রোগ প্রতিরোধের উপকরণ, চিকিৎসকের ফি প্রভৃতি খাতে অনুমোদিত খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য ২ হাজার ২৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একজন কোভিড রোগী সেখানে তিনবার পর্যন্ত পরীক্ষা করতে পারবেন। পিপিই প্রভৃতির জন্য এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ডাক্তারের ফি দিনে এক হাজার টাকা এবং টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের ফি ধার্য হয়েছে ৬০০ টাকা।

করোনা রোগীকে নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট বা আইসোলেশন বেডে রেখে চিকিৎসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, তাঁরাও দুদিন প্রাইভেট বা আইসোলেশন বেডে থেকে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। করোনা নেগেটিভ রোগীরা এরপর অন্য রোগের চিকিৎসা করালে তার জন্য নির্দিষ্ট বেড বরাদ্দ হবে। কেউ নথিভুক্ত হাসপাতালে অন্য কোনও চিকিৎসা বা অপারেশন করানোর জন্য ভর্তি হতে গিয়ে আগাম করোনা পরীক্ষা করালেও এই টাকা রিইমবার্স করানোর সুযোগ পাবেন। তবে ওই পরীক্ষা সরকারি নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকেই করাতে হবে।রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পে প্রায় পাঁচ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপকের নাম নথিভুক্ত আছে। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে তার খরচ সরকারের কাছ থেকে পাওয়ার সুযোগ পান। কোন রোগের চিকিৎসায় কী হারে খরচ দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করে দেয় রাজ্য সরকার। এবার করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেটাই করা হল।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট