ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিতে যেসব শিক্ষার্থীর ডিভাইস কেনার সক্ষমতা নেই, তাদের তালিকা পাঠাতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী ২৫ অগাস্টের মধ্যে ফরৎবপঃড়ৎথঢ়ঁনষরপঁহরা@ঁমপ.মড়া.নফ এই ঠিকানায় শিক্ষার্থীদের ‘নির্ভুল তালিকা’ পাঠাতে বলা হয়েছে বলে রোববার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবনে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য গত ২৫ জুন উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে ইউজিসি। “উপাচার্যদের মতামতের ভিত্তিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডেটা সরবরাহ এবং সফট লোনের আওতায় স্মার্টফোন সুবিধার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস সংসদ টিভিতে প্রচার করা হচ্ছে।
বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মত করে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ভার্চুয়ালি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনেকে তাল মেলাতে পারছেন না প্রয়োজনীয় ডিভাইস ও উপযুক্ত ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে। বিশেষ যেসব শিক্ষার্থী ছুটির মধ্যে গ্রামে অবস্থান করছেন, সেখানে ইন্টারনেটের গতি তাদের ভোগাচ্ছে, তেমনি মোবাইল ইন্টারনেটের খরচ তাদের জন্য হচ্ছে বাড়তি চাপ। গ্রামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের এক ঘণ্টার একটি ক্লাস করতে মোটামুটি ৬০০ থেকে ৭০০ মেগাবাইট ডেটা খরচ হয়। দাম নির্ভর করে কে কোন অপারেটরের কোন ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করছেন তার ওপর। আবার অনেকে তাদের বাসায় ফোরজি নেটওয়ার্ক পান না বলে ভিডিও কলে ক্লাসে যোগ দিতে তাদের ভালো নেটওয়ার্ক আছে এমন কোথাও যেতে হয়। আর যাদের স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ নেই, তাদেরক্লাসেযোগদেওয়ারওসুযোগহচ্ছেনা।