শুনশান রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট যেন বনধ চলছে। রাস্তায় পুলিশি টহল। মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, এই ছিল রাজ্যজুড়ে বৃহস্পতিবারের লকডাউনের খণ্ডচিত্র। শনিবার ফের সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন এমনই স্বতঃস্ফুর্ত লকডাউনের প্রত্যাশায় পুলিশ প্রশাসন। আগামী সপ্তাহে বুধবার লকডাউন হবে। আর কোনদিন লকডাউন করা হবে তা সোমবারের বৈঠকে স্থির করবে নবান্ন।
৪ ঘণ্টার নোটিসে লকডাউনের পর কেটে গিয়েছে ৪ মাস। কিন্তু এই দুই লকডাউনের পার্থক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার পুলিশি তৎপরতা যেমন চোখে পড়েছে তেমনই নজর এড়ায়নি মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে লকডাউন মানার মনোভাব। তবে টুকরো ছবি হিসেবে উঠে এসেছে লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে অকারণে বেরোনোর ঘটনাও। পুলিশের সক্রিয়তায় অবশ্য তা যতটা সম্ভব ঠেকানো গিয়েছে। বৃহস্পতিবার লক়ডাউন ভাঙার অভিযোগে রাজ্যে দু’হাজারের বেশি লোককে আটক বা গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে রাজ্যে কনটেইনমেন্টের সংখ্যা কিন্তু ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সরকারি ওয়েবসাইট এগিয়ে বাংলায় দেওয়া কনটেইনমেন্টের তালিকায় দেখা যাচ্ছে ২৩ জুলাই বিকেল ৫ টা পর্যন্ত রাজ্যে কনটেইনমেন্টের সংখ্যা ৯৫৮। তার মধ্যে কলকাতা পুর এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৮ থাকলেও উত্তর ২৪ পরগনায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৩। পূর্ব বর্ধমানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা সর্বাধিক, ১৬৯। রাজ্যের সব জেলায় একাধিক কনটেইনমেন্ট জোন থাকলেও ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানে একটিও কনটেইনমেন্ট জোন নেই।