করোনা আবহে খোলা বাজারে যথেচ্ছ ভাবে বিক্রি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার , ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে অন্ধকারে খোদ ব্যবহারকারীরা


শনিবার,১৮/০৭/২০২০
858

পশ্চিম মেদিনীপুর:- করোনা আবহে খোলা বাজারে যথেচ্ছ ভাবে বিক্রি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিভিন্ন কোম্পানির স্যানিটাইজারের পসরা সাজিয়ে মেদিনীপুর শহরের আনাচে কানাচে বসে পড়েছে বিক্রেতারা। কেনাবেচাও চলছে দেদার। কিন্তু নন ব্র্যান্ডিং, লেবেল বিহীন স্যানিটাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে অন্ধকারে খোদ ব্যবহারকারীরা। বিক্রেতারা এবিষয়ে মুখ না খুললেও ক্রেতারা যে সুরক্ষার বিষয়ে অবগত না হয়েই এক প্রকার বাধ্য হয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে, তা কার্যতই স্বীকার করলেন কয়েকজন ব্যবহারকারী।

তাদের বক্তব্য, স্যানিটাইজার ব্যবহার এখন দৈনন্দিন হয়ে পড়েছে, চাহিদার তুলনায় ব্র্যান্ডেড স্যানিটাইজারের যোগান কম, যার ফলে সুরক্ষার মাপকাঠি না জেনে বুঝেই ব্যবহার করতে হচ্ছে স্যানিটাইজার। ব্যবহারকারীরা জানান, করোনা আটকাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা বলছে সরকার, কিন্তু যে স্যানিটাইজার টা ব্যবহার করছি, সেটা কতটা সুরক্ষিত, আদৌ সেটা করোনা আটকাবে ? সেবিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। সরকারের উচিৎ করোনার মত মারন ভাইরাস আটকাতে হলে স্যানিটাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়টাও দেখার। অন্যদিকে এবিষয়ে মেদিনীপুর শহরের প্রথিতযশা চিকিত্‍সক ডাঃ প্রতিপ তরফদার জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত স্যানিটাইজারের মাপদন্ড বিচার করার সময়, পরিকাঠামো বা লোকবল সরকারেরও নেই। তাই আমরা যারা ব্যবহার করছি, আমাদের নিজেদেরই সুরক্ষার বিষয়টি দেখে নেওয়ার দায়িত্ব। যত কম সম্ভব খোলা বাজার থেকে স্যানিটাইজার না কিনে ওষুধ দোকান থেকে কেনাই ভালো। তার থেকেও ভালো স্যানিটাইজারের পরিবর্তে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। কারণ স্যানিটাইজার নকল হলেও, সাবান নকল হওয়া অসম্ভব, যেমনই সাবান হোক ফেনা হবেই। আর সাবানেই সব থেকে বেশি জীবাণু মরে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সব থেকে বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করেন ডাঃ তরফদার।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট