কলকাতা : একদিকে তিনি বিধায়ক ও মন্ত্রী অন্যদিকে কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান। একসঙ্গে দুটি লাভজনক পদে একজন ব্যক্তি কি করে থাকতে পারেন? ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে থেকে তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরেরর এক অফিসার এ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে ফিরহাদ হাকিম এর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়। আর এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এ বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভা থেকে তিনি কোনো রকম সুবিধা নেন না। যেমন তিনি বেতন নেন না তেমনি পুরসভার গাড়িও ব্যবহার করেন না। যেখানে তিনি লাভ নেন না সেখানে লাভজনক পদের প্রশ্নই ওঠে না। বিজেপি এবং রাজ্যপাল এ বিষয়ে ঘোঁট পাকানো চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন ফিরহাদ হাকিমের বিষয়ে কমিশনকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সতীশ তিওয়ারি। তার চিঠি পাওয়ার পরেই এই বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশন তৎপর হয়। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, রাজ্যপালের কাছে দু’টি অভিযোগপত্রে ফিরহাদ হাকিমের বিধায়ক পদ খারিজের ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে। সংবিধানের ১৯১(১)(ক) ধারা মেনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়েও আর্জি জানানো হয়েছে। তাই সংবিধানের ১৯২(২) ধারা মেনে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাছে এবিষয়ে মতামত জানতে চান। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ১১৫ টি সরকারি পদকে লাভজনক হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। পরে ২০১১ সালে সেই তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় পদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২৬। একইসঙ্গে ১২ টি পদকে অলাভজনক নয় বলেও ঘোষণা করা হয়। যেহেতু ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভা থেকে কোনরকম বেতন কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেন না সেই হিসাবে রাজ্য সরকারের খাতায় অলাভজনক পদে আছেন বলেই রাজ্য সরকার একটি সূত্রের খবর। পাশাপাশি তার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধানের পদে বসার বিষয়টি হাইকোর্টের অনুমোদন রয়েছে বলেও ফিরহাদের পক্ষের দাবি। তবে বিষয়টিকে একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বিজেপি ছাড়বেনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল সেটাই মনে করছে।