হেমন্তি
এসকেএইচ সৌরভ হালদার
নিশিতে শিশিরের ঝরা
গায়ে চাদর মোড়া
হাতে কলম ,লিখছি খাতাই
হেমন্তি তোর চিঠিখানা।
নিভু নিভু প্রদীপ
জ্বলছে টিপ টিপ করে
পঁচিশ বছর পর
পেয়েছি তোর ঠিকানা।
অরবিন্দু রায় চব্বিশ পরগনা,
চিনতে পারছিস!
মনে আছে সে কথা
গ্ৰামের ঐ মন্দিরটায়
বেঁধেছিলাম তোর খোঁপায়
কাশফুলের সাদা তোড়া।
শরৎ এর সাদা মেঘ
ভাসছে বাতাসে ,এখনো কি?
পেয়েছিস আমার চিঠিখানা
খামের ওপাশে দেখবি ইংরেজিতে লেখা
আঁকাবাঁকা আমার সাক্ষরটা।
কথাই কথাই বলতে ভুলে গেছি
কেমন আছিস?
আমি বেশ ভালো আছি
সংসারের মোহ ত্যাগ করে
চলে গেছে তোর বৌদি ,
গিয়েছিলাম সুমিত্রার বাড়ি
ওএখন জজ কোর্টের উকিল
তাই গুন্ডারা পায়না
এখন আর বেল,
এই নিয়ে আলোচনা করেছি সারাদিন ।
বিহারের সেই রাজবাড়ী
শেষ দেখা গুলো মনে করি
তুই আর আমি লিখেছিলাম
এ প্লাস বি
এ তে অরবিন্দু বি তে বিনু
তোকে আমি আদর করে
ডাকতাম বিনু রায়চৌধুরী
শরৎ পেরিয়ে বসন্ত এলো
দীর্ঘ সময় পার হলো
শেষ গল্পটা তোকে বলা হলো না ,
প্রথম থেকে শুরু
সবই তুই জানিস
যদি পারিস গল্পটা ছাফিস।
সত্যি কথা বলতে
বাঁচবো আর কদিন
শ্মশানের কার্ডগুলো
টানছে অনেকদিন থেকে
যাব যাব বলে আর যাওয়া হচ্ছে না।
চিঠিটা তো শেষ হলো,
এবার আমি চললাম।
কালো মেঘে ভেসে বেড়াবো
ঠিকানা নেই কোন ,
কখনো আমায় মনে করিস
অরবিন্দু রায় চব্বিশ পরগনায়।