গর্বের রেলও চলে যাচ্ছে বেসরকারি হাতে। সৌজন্যে কেন্দ্রের মোদি সরকার। যে সিদ্ধান্ত ঘিরে গোটা দেশ এখন তোলপাড়। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী কংগ্রেস থেকে বাম, তৃণমূল সহ দেশের বিরোধী দলগুলি। দেশের আর্থিক আয় বাড়াতে রেলের একটা অংশ বেসরকারি করনের সিদ্ধান্তের বিজ্ঞপ্তি ঘোষিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সওয়াল এর ফলে পরিষেবা আরও জনমুখী হবে। জিডিপি বাড়বে বলেও মত সরকার পক্ষের বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে আজ হোক বা কাল, এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতেই হবে কেন্দ্রকে। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অনেক সময় এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। তবে এই অংশের বিরোধী অভিমতও উঠে আসছে। বিরোধী মতের পক্ষে অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন সঠিক নীতির রূপায়ণ করলে সরকার নিজের পরিচালনায় রেখে দেশের আর্থিক ভিতকে শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে। এর জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছার।
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, বেসরকারি করনের মাধ্যমেই দেশের বিকাশ ঘটবে। পুরনো ধ্যানধারনা আঁকড়ে থাকলে দেশ এগোবে না।
লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি রেল বেসরকারি করনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, জাতীয় কংগ্রেসের এত বছর ধরে তৈরি করা একটার পর একটা সংস্থা বেচে চলেছে বিজেপি সরকার। এবারে কোপ পড়েছে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য ভারতীয় রেলের ওপর। রেলকে মুনাফা লোভী বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চলেছে ভারত সরকার। কড়া সমালোচনা করেছে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও। তিনি বলেন, ভারতের জাতীয় সম্পদ রেল বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেলিমের মন্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের জাতীয় সম্পদ রেল ব্যবহার করেন নি। দেশে করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মাঝে সেই জাতীয় সম্পদ রেলকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক। বৃহস্পতিবার এমনটাই বললেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, এটা কি ধরনের দেশপ্রেম? দেশের সম্পদ তৈরি করা না বিক্রি করা। তৃণমূলের তরফ থেকেও কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন বলেছেন, মোদি সরকার এক এক করে দেশের জাতীয় সম্পদ গুলোকে বিক্রি করার পথে হাঁটছে। এইসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না আসলে মানুষ তার যোগ্য জবাব দেবে।।