ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: দেশের এই করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ফ্রন্টলাইনে কাজ করার কথা ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু দেশের এই মহামারির সময়েও স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৮ জুন রবিবার নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথি দলের উদ্যোগে ‘হোমিওপ্যাথিক করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক ওষুধ’ বিতরণ অনুষ্ঠানের ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের এই সময়েও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমাদের এই জাতির দুর্ভাগ্য যে, এমন একটা সরকার এই দেশ শাসন করছে, যারা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়; যাদের কোন জবাবদিহিতা করতে হয় না।
তিনি বলেন, পার্লামেন্টে তারা যে বাজেট দিয়েছে সে বাজেটের আলোচনা হয়েছে মাত্র দুই–তিন দিন। বিএনপির যে সব সংসদ সদস্য রয়েছেন তারা একটি ভার্চুয়াল সংসদ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু সেটাও করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই চরম দুরবস্থার মধ্যে সারাদেশের মানুষ আজ অসহায় হয়ে গেছে। তারা কোনো দিক নির্দেশনা খুঁজে পাচ্ছে না। সরকারের ভুল নীতির কারণে সমগ্র দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই লেজেগোবরে অবস্থা হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্যখাতকে চরম অবহেলা এবং করোনা সংক্রমণের পর সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারণে এ করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দেশে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আছে, তারা একেক সময় একেক কথা বলছে। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র গতকাল বলেছেন, আর কাল বিলম্ব না করে অনতিবিলম্বে জোনভিত্তিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কতোটা সামঞ্জস্যহীনতা, কতোটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে মেয়রকে এই কথা বলতে হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার জানেনই না তারা এখন কী করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের মানুষকে যে গাইড লাইন দেবে সেটাও তারা দিতে পারেননি।
এ সময় জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথি দল বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসায় তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।