কলকাতা : করোনা নিয়ে যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতাল গুলির বিরুদ্ধে উঠছিল বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ। যা নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিল মানুষের মধ্যে। এবার হস্তক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। ইচ্ছে খুশি চার্জ নেওয়া যাবে না। জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বেঁধে দিয়েছেন খরচ।
করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে বেশি চার্জ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকও করেছে। এবার সরাসরি চিকিৎসার খরচ বেঁধে দিল রাজ্য সরকার।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এখন থেকে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য ২২৫০ টাকা করে নিতে হবে। পিপিইর জন্য দৈনিক ১ হাজার এবং ডাক্তারদের ফিজ হিসেবে দৈনিক ১ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েকটি প্রাইভেট সেন্টার ইতিমধ্যেই খরচ কমিয়ে দিয়েছে। বাকিরাও যাতে দাম কমায়, সে জন্যই সরকারি নির্দেশিকা জারি হল।
বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রেক্ষিতে মমতা ব্যানার্জি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে আবেদন করেন, স্কুলের ফিজ না বাড়াতে। মমতার কথায়, অন্যান্য বিভিন্ন খাতে যে সমস্ত খরচ নেওয়া হয়, তা আপাতত বন্ধ রাখুন। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন, অনেকেই রাজনীতি করতে গিয়ে বলে দিচ্ছেন স্কুলের ফিজই দেবো না। তাহলে স্কুলের কর্মীরা বা শিক্ষকরা বেতন পাবেন কী করে? রাজনীতি করতে গিয়ে শিক্ষক বিরোধী হয়ে উঠবেন না, বলেন মমতা ব্যানার্জি। প্রাইভেট স্কুল কর্তৃপক্ষকে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে তাঁর আবেদন, ফিজ যেমন আছে তেমনই থাকুক। তাতে মানুষের ভোগান্তি একটু কমে।
এদিন নবান্ন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অন্তর্গত একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ৯ টি সদ্ভাব মণ্ডপ, ৭ টি ছাত্রাবাস, ৮ টি কর্মতীর্থ কেন্দ্র, ৩৫৮ টি নবসংযোজিত ক্লাসরুম, ৪ টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৬৯ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ৪৬ টি পানীয় জল প্রকল্প এবং ৭ টি সংযোগকারী ছোট রাস্তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং ২ টি সদ্ভাব মণ্ডপ, ৯ টি মহিলা ছাত্রাবাস, ১ টি ছাত্রাবাস, ১ টি অডিটোরিয়াম, ১ টি পাঠাগার সহ আরও একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন মমতা ব্যানার্জি।