নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বিরোধী নেতারা করোনা বা আম্ফান নিয়ে বারংবার মমতাকে নিশানা করছিলেন সেই বিরোধী নেতাদের নিয়েই কমিটি গড়লেন। সেখানে সবকটি রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি সর্বদলীয় কমিটি। সেই কমিটিতে যেমন থাকবেন তৃণমূলের পার্থ চ্যাটার্জি তেমনি বিজেপির দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতারা। সেই কমিটি আম্ফানে বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠনের কাজ পর্যালোচনা করে খসড়া রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন । সেই খসড়া গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কাজ করবে সরকার। পাশাপাশি খসড়ার কপি পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছেও। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।এছাড়া সুন্দরবনে নদী ও ভূপ্রকৃতির সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজ্যের তরফে নীতি আয়োগকে চিঠি পাঠানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিন। সুন্দরবন রক্ষায় মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে কাজ করা যাবে বলে সহমত হয়েছেন সব দলের নেতারা। আরও জানা গিয়েছে কেন্দ্রের বকেয়া টাকা পাওয়ার ব্যাপারেও রাজনৈতিক নেতারা সোচ্চার হবেন বলে বৈঠকে ঠিক হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে মমতা ববলেন, গরিব মানুষকে বঞ্চনা করা যাবে না। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখও করেন তিনি। মানুষকে সাহায্য করার প্রশ্নে দলীয় রঙ দেখলে চলে না বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। এদিনের বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যাঁরা লিস্ট থেকে বাদ গিয়েছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। রাজ্য সরকার একজনকেও বঞ্চনা করবে না। মমতা বলেন, দয়া করে ভাঙচুরের পথে যাবেন না, সঠিক জায়গায় শুধু অভিযোগ করুন, বাকিটা আমি দেখবো।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানোর প্রসঙ্গ উঠে আসে বৈঠকে। তা নিয়েও আলোচনা হয়। সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বেসরকারি হাসপাতালের কাছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি জানান, এটা ব্যবসা করার সময় নয়। মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে।
রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা।