প্রলয়ংকরী আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধস্ত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ালেন অহিংসা ও সর্বধর্ম সম্প্রীতির কারিগর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ড. অরুনজ্যোতি ভিক্ষু।
এবার টালিগঞ্জ সম্বোধি বুদ্ধ বিহার এবং অল ইন্ডিয়া একতা ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম সকল ধর্মের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে আজ প্রথমে মিনাখাঁর বামনপুকুর রামকৃষ্ণ সারদা মিশনে আর্থিক সহযোগিতা সহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ তুলে দেন। এরপর গদখালি হয়ে গোসাবা এবং বালি দ্বীপের অসংখ্য মানুষের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় রেশন সহ মাস্ক ঔষধপত্র এবং কিছু মানুষের হাতে অল্প আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
এই ত্রাণে তাকে বিশেষ সহযোগিতা করেন শ্রী রূপক বড়ুয়া, জনাব মঈনুল হক, অল ইন্ডিয়া একতা ফাউন্ডেশনের সাবির আলি, জাভেদ আখতার, মহম্মদ কামরান সহ কয়েকজন মানব দরদী মানুষ। এই সন্ন্যাসীর মতে কাকদ্বীপ এবং বকখালি থেকেও এই গোসাবা ও সজনেখালি অঞ্চলে দূর্গত মানুষের হাহাকার সত্যি খুবই কষ্টের। দূর্গত মানুষদের অনেকের মতে চাল, আঁটা সরকার যথেষ্ট দিচ্ছেন কিন্তু অন্যান্য রেশনের খূব দরকার। সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সম্পাদক প্রসেনজিত্ মন্ডল কে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে যাওয়ার পথে বিদ্যাধরী নদীর দু’পারে ত্রাণের জন্য মানুষের আর্তনাদ আমাদের চোখে জল নিয়ে আসে। আমরা ছয়টি স্পটে নেমে নদীর পাড়ের ভিতরে কয়েকটা পাড়াতে যা দেখলাম সরকার প্রদত্ত কিছু পাকা বাড়ি কিন্তু মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর যাদের পাকা বাড়ি জোটেনি একটা ত্রিপলে কোন রকমে প্রাণ রক্ষা
এই অসহায় মানুষের সহযোগিতায় সকল সচ্ছল মানুষেদের এগিয়ে আসা উচিত। এখনো প্রতিদিন অনেক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে পৌছলেও অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁরা পৌছান না বলে অভিযোগ সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের। অনেকেই নদীর এই পাড়ে সোনাখালি, গদখালি বা ঝড়খালিতে বন্টন করে দেন, কিন্তু টালিগঞ্জ সম্বোধি বুদ্ধ বিহার এবং অল ইন্ডিয়া একতা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দ্বীপে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় অরুণজ্যোতি ভিক্ষুকে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের পক্ষে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।