পশ্চিম মেদিনীপুর:- নারায়ণগড় ব্লক করোনা মুক্ত বিধায়কের গর্বের সহিত ঘোষণা করার দু দিন পরেই করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল নারায়ণগড় ব্লকে।এবার আক্রান্ত ব্যাক্তির খোঁজ মিললো উক্ত ব্লকের ১৩ নম্বর বাখরাবাদ অঞ্চলের বরদাইতে।গ্রামে এলাকাবাসী সূত্রে খবর-“গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে কয়েকজন তারা কাজের সূত্রে মুম্বাইতে গেছিল।গত মাসের ২১ তারিখে তারা বাড়ি ফেরে।প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় এলাকার একটি স্কুলে।এরপর ২৫ তারিখ নাগাদ তারা স্থানীয় বেলদা গ্রামীণ হসপিটালে করোনার জন্য পরীক্ষা করান।আরে এই পরীক্ষার প্রায় 18 দিন পরে রিপোর্ট আসে একজনের করোনা পজেটিভ বলে।এরপরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।তার মধ্যে ঘটে গিয়েছে অনেক নাটক।
কারণ যে সকল লোকেরা এসে এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন তাদের ১৪ দিন পেরিয়ে গেছে। ফলে প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী তারা এবার যে যার বাড়ি যেতে পারেন সেই মতন তারা সবাই বাড়ি চলে গেছেন।১৪ দিন পেরিয়ে বাড়ি চলে যাবার পরেই প্রায় ১৮ দিনে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের একজনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে।যা নিয়ে ইতিমধ্যে আঁগুল উঠেছে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে।সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরাও ।
যদিও বর্তমান এই করোনা আক্রান্তের খবর আসার পরে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে বরদাই এলাকায়।পৌঁছেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মীবৃন্দ।সূত্রের খবর ওই করোনা আক্রান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবার এবং ওর সঙ্গে এসে কোয়ারেন্টাইনে থাকা চারজনকে বর্তমানে আবার পুনরায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পুরো এলাকা সিল করে মাইকিং করে এলাকাবাসীদেরকে সতর্ক করছে পুলিশ প্রশাসন।যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের এই গাফিলতির ফলে এলাকায় শুরু হয়েছে আতংক এবং গুঞ্জন।অপরদিকে জানাজায় নারায়ণগড় ব্লকে এই প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল।এর আগে দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের সাউরি, বামনাসাই ও যাহালদাতে এই করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছিল।এবং গত কয়েকদিন আগে দাঁতন এক নম্বর ব্লকের স্বাস্তানগর এলাকায় দুই পরিযাই শ্রমিকের করোনা প্রজেটিভ পাওয়া যায়।আর আজ নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ অঞ্চলের বরদাই ও দাঁতন ২ ব্লকের হরিপুর অঞ্চলের একজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।এই নিয়ে দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের মোট চারজন আক্রান্ত। দাঁতন এক ব্লকে দুই জন এবং নারায়ণগড় ব্লকের একজন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল।