শুক্রবার ভোররাতে নিজের সল্টলেকের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন অবনীমোহন জোয়ারদার। মাঝে বেশ কিছুদিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন।চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে আসেন প্রাক্তন এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। দীর্ঘদিন পুলিশে দাপটের সঙ্গে কাজ করে আসা অবনীবাবুর রাজনীতিতে আগমন ঘটে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। চাকরি জীবনের অবসর শেষে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১১ সালেই তিনি নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন এবং জয়ীও হন।
২০১৬ সালেও ওই একই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারে কারা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। অসুস্থতারণ কারণে বেশ কিছুদিন তাঁকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করেও রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ভোররাতে নিজের সল্টলেকের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর কৃষ্ণনগরে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষনেতারা।