তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হল বোমাবাজি। এলাকা দখলের জন্য যুব তৃণমূলে নেতা কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ। আর সেই বোমার আঘাতেই আহত হন ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃনমূলের সভাপতি বাদল মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে ভাঙড় থানার ঘটকপুকুর এলাকার গোবিন্দপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানাজায় ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এদিন সেই লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে। তৃণমূলের এক গোষ্ঠী ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কর ছিল সেই সময় বাদল মোল্লা সহ যুব তৃনমূলের একটি দল ওই এলাকাতেই ত্রাণ দেবে বলে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তালিকা বানাচ্ছিলেন। এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বেঁধে যায়। যুব তৃণমূল কর্মীদের দাবি স্থানীয় যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাদল মোল্লা সহ দলীয় কর্মীরা গোবিন্দপুরের একটি দলীয় কার্যালয়ে ছিল। সেই সময় এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। নিজের এলাকায় বোমাবাজি হচ্ছে দেখে তৃণমূল নেতা আইনাল মোল্লা সহ দলীয় কর্মীদের নিয়ে দেখতে যায়। তখন তাদের লক্ষ্য করে এল পাথারি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আর তাতেই যুব সভাপতি সহ আহত হন প্রায় 15 জন। তাদের নলমুড়ি প্রাথমিক হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে যুব সভাপতি বাদল মোল্লাকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকায় এই ঘটনাকে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
যুব তৃণমূল নেতা বাদল মোল্লার পেটে ও পায়ে বোমা লেগে ব্যাপক আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি স্থানীয় আরও এক নেতা আয়নাল মোল্লার মাথা ফাটার পাশাপাশি অন্য দলীয় কর্মীরা ব্যাপক আহত হয়। এই ঘটনায় সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে দক্ষিণ 24 পরগণা জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সওকাত মোল্লা সহ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম ও সাজান মোল্লা বাদলকে দেখতে বাইপাসের ধারে বেসরকারি নার্সিংহোমে যায়। সেখান থেকে এলাকায় দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দিতে তারা গোবিন্দপুর এলাকায় আসে। তৃণমূল নেতৃত্ব কে সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুব তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ এর দিকে।
জেলা যুব তৃণমূলের নেতা কে সামনে পেয়ে তাই কাইজার আহমেদকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীরা। কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজির পাশাপাশি যুব তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তিনি এই বিষয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় ভোররাত বিশাল পুলিশবাহিনী টহল দেয় এলাকায়।