পশ্চিম মেদিনীপুর:-লকডাউন এর ফলে বিপর্যস্ত তাঁত শিল্প ও শিল্পীরা। বংশ পরম ম্পরায় চলা এই শিল্প লকডাউন এর ফলে সম্পূর্ণ ভবে বন্ধ।রুজি রোজগারের একমাত্র রাস্তা বন্ধ হওয়ায় চিন্তায় তাঁত শিল্পীরা।ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন 2 ব্লকের শ্যামসুন্দরপুরে।পৌঁছায়নি সরকারি সাহায্য।লকডাউন এর আগে যেটুকু উপার্জন হয়েছে তাই দিয়ে চলছে বর্তমানে সংসার।এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এক শিল্পী জানান -উক্ত গ্রামে প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ টি পরিবার এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।সারা বছর ধরে মূলত তারা গামছা ও আদিবাসী শাড়ি তৈরি করে থাকেন।কারণ বর্তমান তাঁত শিল্পের অবস্থা খুবই করুন।তাই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কম দামের মধ্যে এই সকল কাজ গুলি তারা বেশি করে থাকেন।
তবে অর্ডার অনুযায়ী অনেক দামি শাড়ি ও তারা তৈরি করেন।কিন্তু বর্তমান করোনা আতঙ্কে লকডাউন এর ফলে তা সব ক’টি বন্ধ।প্রায় দুমাস ধরে এই রুজি-রোজগারের রাস্তা বন্ধ হয়েছে ।তাই বর্তমান তাদের বিপর্যস্ত অবস্থা। ইনকাম নেই, আবার বাড়ি থেকেও বের হতে পারছে না তারা।তাই লকডাউন এর আগে যেটুকু সঞ্চিত অর্থ ছিল তাই দিয়ে বর্তমান চলছে সংসার।কিন্তু তাও প্রায় ফুরিয়ে আসার পথে।তাই উপায় না দেখে যে ধার বাকি পড়েছে মহাজনদের কাছে তা শোধ করতে হবে এই ভেবে পুনরায় গত দুই চারদিন হলো তারা আবার কেউ কেউ বাড়িতে থেকে তাঁত বোনা শুরু করেছেন।তবে এখন বিক্রি করতে পারবেন না জানেন তারা।লকডাউন এরপর সেগুলো বিক্রি করে কিছু উপার্জন করে ধারদেনা মেটাবেন।
এই তাঁত শিল্পের পাশাপাশি এলাকার এক যুবক স্বপন দাস বেশ কিছুদিন আগে উড়িষ্যা থেকে কম দামে একটি এমব্রয়ডারি কাজের মেশিন কিনে এনেছেন।ফলে এলাকায় অনেক মানুষ ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।অনেক পরিবারের রুজি রোজগারের রাস্তা তৈরি করেছে স্বপন দাস।কিন্তু বর্তমানে সে কাজ ও বন্ধ। সব মিলিয়ে লকডাউন এর ফলে বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন 2 ব্লকের তাঁত শিল্প ও শিল্পীরা।