পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তে অসংগঠিত ও সংঘঠিত ভাবে মিলিয়ে প্রায় ২৩ লক্ষ প্রাইভেট টিউটর এবং তাদের ভবিষ্যৎ 


মঙ্গলবার,১৯/০৫/২০২০
1804

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আয়তনে বিশাল আকারের অন্য বড়  রাজ্য গুলির মতো না হলেও জনসংখ্যার নিরিক্ষে সরকারি ভাবে ৯ কোটি  ১০ লক্ষ লোকের বসবাস বলা হলেও,বেসরকারি পরিসংখ্যান মেলালে এখানে প্রায় ১২ কোটির মতো লোক বসবাস করে থাকেন।  জনঘনত্বের নিরিক্ষে খুব বেশি জন ঘনত্ব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের। যেহেতু ১৯৬০ এর দশকের পর থেকেই এখানে বিভিন্ন ভাবে শ্রমিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সরকারি সুবিধা কম পেতে থাকায়, অনেক বড় মাপের শিল্প পতিরা এখানে লগ্নী করবার চিন্তা ভাব না বাদ দিয়ে অন্যান্য সম্ভাবনা ময় রাজ্য গুলো তে অনেক বেশি পরিমানে লগ্নিকরণের দিকে মনোনিবেশ করেন।
১৯৬০-১৯৯৫ এর দশকে একের একের পর এক কল কারখানা, জুট মিল , ফ্যাক্টরী , রাইস মিল , হালকা , মাঝারি এবং ভারী শিল্প এর বড়ো বড়ো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান গুলি বিভিন্ন সরকারি উদাসীনতা, পরিকাঠামো গত অভাব, আধুনিকীকরণের অবহেলায় অন্য রাজ্য তে তাদের প্রধান কার্যালয় গুলি কে স্থানান্তর করেন এবং লগ্নি কমিয়ে দেন।  সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তে বন্ধ হয়ে যাই সংসকৃত , হিন্দি  এবং ইংরাজীর চর্চা বেশির ভাগ বাংলা মিডিয়াম স্কুল গুলোতে চলতে থাকে অতি পুরোনো সিলেবাস এর সব বই। যার ফলে বেশির ভাগ মেধাবী ছাত্র রা ভালো ইংরেজী বলতে না পারার কারণে বেছে নেই বাংলা ভাষার জোরে চাকরির দুনিয়াতে নিজের সাফল্য লাভের চেষ্টা।  সাথে হিন্দি ভাষাও ভালো করে বলতে না পারার  কারণে তাদের সর্ব ভারতীয় স্তরে কমতে থাকে গুরুত্ত্ব । 
তাই বাঙালি মেধাবী ছাত্রদের  একটা সিংহভাগ অংশ বেছে নেয় তিনটি পথ ১) সরকারি চাকুরী ২) ব্যবসা  (ছোট অংশ) ৩) প্রাইভেট টিউশনি  প্রথম দুটো পথে সাফল্য পাওয়া যেহেতু অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পুঁজি এবং সময় দুটোই খুব বেশি দিতে হয়।  তাই তৃতীয় পথ টিতে চলে আসে লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলেরা। এই পথে এসে তৈরী হয় নানা ধরণের জটিলতা প্রায় ২৩ লক্ষ প্রাইভেট টিউটর আছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তে এবং এই লকডাউন এর করোনা মহামারীতে তাদের আর্থিক অবস্থা খুব শোচনীয় বলা যায় ।
সামাজিক ভাবে এই প্রাইভেট টিউটর দের অনেক অবদান আছে শিক্ষার উন্নতির জন্য এবং শিক্ষা কে একদম সর্ব  নিম্নস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য। কিন্তু এই জাতির মেরুদন্ড তৈরী করা কারিগর রা যেন আজকের পশ্চিমবঙ্গ তে হয়ে গেছেন সব থেকে বঞ্চিত শ্রেণী।  তাই আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের দায়ভার আছে এনাদের কে যথাযোগ্য সন্মান দেওয়া।  কিছু শিক্ষক সংগঠন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন যাতে করে এই ২৩ লক্ষ মানুষের জন্য একটা যথাযোগ্য জায়গা করে দেওয়া যায়  যাতে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা সুলভে এবং উন্নত ভাবে পাই।  
 
১) অল বেঙ্গল টিচারস টিউটরস এসোসিয়েশন 
 
২) প্রাইভেট টিউটরস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন 
 
৩) ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেনড টিচার্স এসোসিয়েশন 

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট