বাংলাদেশ এর ৫ দশকের মধ্যে অভাবনীয় উন্নতি 


মঙ্গলবার,১৯/০৫/২০২০
1805

বাংলাদেশ কে নিয়ে অনেক রিসার্চ করে আমি অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি এবং দেশ টিকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করবার সুবাদে অনেক মন নিংড়ানো অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের কাছে প্রতিবেদন করে তুলে ধরবো। দেশটির আয়তন ১৪৪,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার বা ৫৭০০০ বর্গ মাইল বলা যেতে পারে। বাংলাদেশ একটি বেশ সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে এগিয়ে চলেছে ১৯৭১ সালের ১৬ ই মার্চ পাকিস্তান এর থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটিতে সরকারি হিসেবে ১৬-১৮ কোটি লোক থাকে দেখানো হলেও আমি অনেক বাংলাদেশির সাথে কথা বলে যেটা জেনেছি দেশটির  প্রায় ২৫-২৬ কোটি মানুষ এর জনসংখ্যা।

পাকিস্তান এর আমলে দেশটিতে অনেক সমস্যা দেখা গিয়েছিলো পাকিস্তানই উর্দু ভাষী লোকেরা সব বড়ো বড়ো সরকারি পদে আসীন ছিল এবং সরকারি, প্রশাসনিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সব ক্ষমতায় সমস্ত  রকম করে পাঞ্জাবি উর্দু ভাষী পাকিস্তানিরা দখলে রেখেছিলো।  দেশটিতে ক্রমশই বাঙালি মুসলিম , বাঙালি হিন্দুরা গুরুত্ব হারাতে শুরু করে এর থেকেই বাংলাদেশী স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৬০ এর দশকের পর থেকে শেষ পর্যন্ত সেই বহু কাঙ্খিত ১৯৭১ সালে দেশ টি প্রচুর প্রাণ, ক্ষয় , ক্ষতির মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।  দেশটিতে প্রথম দিকে প্রায় ৮০% মানুষ ই গরীব বা নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব ছিলেন।  কিন্তু আস্তে আস্তে ১৯৮৫ সালের পর থেকে দেশটির উন্নতি হতে শুরু করে।  

বাংলাদেশ এর উন্নতির কারণ : 

১. বাংলাদেশ এর বিপুল জনসংখ্যা এবং এই জনসংখ্যা কে বাংলাদেশ আরব দেশ , মধ্য প্রাচ্য , ইউরোপ , আমেরিকা , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড , ভারত , চীন , রাশিয়া , আফ্রিকা এবং সুদূর ল্যাটিন আমেরিকা সব দেশে লেবার ,  ব্ল কলার জব ( বেশি ) , হোয়াইট কলার জব ( কম ) রপ্তানি করে।  গোটা পৃথিবীতে প্রায় ৫-৬ কোটির বেশি বাংলাদেশী আছেন তারা টাকা কামাই এবং একটা অংশ রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠায় বাংলাদেশ এ।  

২. গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি টিতে বাংলাদেশ চীন কে টক্কর দেয় সবসময়ই।  বাংলাদেশ এর বেপারে খুব গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করে বলছি সমস্ত গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে ৭০% মহিলা ঘর সংসার সামলানোর পরে কম বেশি মাসে নূন্যতম ৮০০০ টাকা থেকে প্রায় ১৫-২০ হাজার বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করে। 

৩. বাংলাদেশে এ যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো অনেক সহজসাধ্য কারণ  লেবার কস্ট খুব ই কম এবং শ্রম আয়ীন সহজ এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আপনি অন্য প্রতিষ্ঠানেও কাজ করতে পারেন পার্ট টাইমার হিসাবে সেটা বৈধ। 

৪. বাংলাদেশ সিমেন্ট উৎপাদন শিল্পে অল্প অল্প করে হলেও উন্নতি লাভ করছে এবং আস্তে আস্তে বিদেশেও সিমেন্ট রপ্তানি করতে চাইছে।  

৫. খাদ্য পক্রিয়াকরণ , চা শিল্প প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজার জাত করা , চিনি উৎপাদন এবং বাজার জাত করা এই শিল্প গুলো তেও এগিয়ে যাচ্ছে।  

৬. একটা উল্লেখযোগ্য শিল্প হলো পাটজাত দ্রব্য এবং তার থেকে বানানো সামগ্ৰী এর বাজারজাত করন করে দেশ ও বিদেশে রপ্তানি। 

৭. বাংলাদেশ ইদানিং কালে প্রাণীয মাংস , চামড়া , ডিম, দুধ  এবং প্রাণীজ অনেক কিছু নিয়েই ভালো পসার জমানোর চেষ্টা করছে যেমন মুরগি , হাঁস, কোয়েল  , ছাগল , গাড়োল , টার্কি , তিতির , গরু , মহিষ , ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং এইগুলোর উপরে জোর দিচ্ছে।  

৮. ভিবিন্ন রকমের মাছ  উৎপাদন এবং তা বিদেশে রপ্তানি করেও বাংলাদেশ প্রচুর অর্থ উপার্জন করে থাকে।  ইদানিং কালের মধ্যে আমরা দেখেছি এতো এগিয়েছে বাংলাদেশ যে সুদূর ইউরোপ আমেরিকা ও বহু দেশেই বাংলাদেশের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। 

৯. বাংলাদেশ এর টিভি নাটক ইউটউব এবং সোশ্যাল মিডিয়া তে কম বেশি বাংলা বলা দর্শকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং এটার একটা ব্র্যান্ডিং তৈরী হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রি তে একটা রেভিনিউ আসছে এবং বাংলাদেশী কালচার ছড়িয়ে যাচ্ছে অনেক দেশে। 

১০. বাংলাদেশ অল্প তুলো উৎপাদন ও করে থাকে সাথে রাসায়নিক সার এবং প্রোডাক্ট ,হালকা এবং মাঝারি শিল্প এগুলো করে থাকে এর থেকেও বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ভালোই। বর্তমানে বাংলাদেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রায় ৯% আস্তে আস্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের থেকেও এগিয়ে গেছে।  

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট