মানবিক চাঁদপুর এর প্রথম অক্ষর টাই হলো মা। মা যেমন সকলের কাছে পূজনীয়, সন্তানের সুখ দুঃখের সঙ্গী ঠিক তেমনি মানবিক চাঁদপুর 2018 এর 24 শে জুনের জন্ম লগ্ন থেকেই ” সারা বছর সবার সাথে সবার পাশে” থাকার জন্য প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।অনেক চড়াই উৎরাই প্রতিবন্ধকতা এর মধ্য দিয়েই এর বিস্তার ঘটে চলেছে । দমদম স্টেশন এ অসহায় দের মাঝে তৃপ্ত ভোজন কর্মসূচি দিয়ে মানবিক চাঁদপুর প্রথম তার কর্মযজ্ঞ শুরু করলেও পরবর্তী কালে অনাথ আশ্রম, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, ইটভাটার শ্রমিক, ভবঘুরে এছাড়া আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে তার দৃষ্টান্ত রেখে চলেছে ।
বীরভূমের অসনসুলিয়া আদিবাসী গ্রামের 600 গ্রাম বাসীর মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, তৃপ্ত ভোজন, জয়নগর এর কুলতলী তে মেডিকেল ক্যাম্প, তৃপ্ত ভোজন , আধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সরকারি বাস এ স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠান বাড়ির বেঁচে যাবা খাবার নিয়ে অসহায় এর মধ্যে বিতরণ, যীশুখিষ্টের জন্মদিন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে উদযাপন, সারা বছর ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তার অন্যতম । শিক্ষার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের সাধ্য মতো পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের পথ চলা। পুজো পরিক্রমায় পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে নতুন বস্ত্র দানের সহিত সারা কলকাতার প্রতিমা ও মণ্ডপ পরিদর্শন এক অন্যতম নজির তাছাড়া শীতকালে কম্বল বিতরণ ও অন্যতম কর্মযজ্ঞ,, বর্তমানে করোনার ভয়াল গ্রাসে যখন সমগ্র মনুষ্য জাতি বিপদগ্রস্ত ঠিক তখনই 1000 এর ও বেশি পরিবারের রেশন দেওয়া এর লক্ষ্যে উত্তর দমদম এর এই সরকারী স্বীকৃত সংস্থা টি কাজ করে চলছে সঙ্গে রয়েছে প্রান্তিক শিশুদের মধ্যে দুধ বিস্কুট বিতরণ ও তৃপ্ত ভোজন কর্মসূচি । একইসাথে এলাকায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে যথাসাধ্য দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে এই সংস্থাটি ।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট শ্রী রাজীব পর্বত এর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে যে কিভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ওনারা জীবনের মর্মান্তিক পরিণতি এর কথা চিন্তা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীদিনে ও যত মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে আমরাও এই প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার মধ্য বিত্ত , নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষগুলো এর পাশে দাঁড়ানোর জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ।