একটা জরিপ করেছিলাম যেখানে দেখেছিলাম বেশীরভাগ ছাত্রই বেসিক থেকে শিখতে চাইছেন তাই তাদের কথা ভেবে বেসিক থেকেই শুরু করলাম । হ্যাকিং শিখার আগে হ্যাকিং এর বেসিক ব্যাপার গুলো জানা অত্যান্ত জরুরী । আমরা প্রথমেই একটা ব্যাপার মাথায় রাখবো আইডি হ্যাকার এবং ওয়েবসাইট হ্যাকার দুজনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য আছে । সাধারনত আইডি হ্যাকারদের কে চোর বলা হয়, এরা মানুষের প্রাইভেসিতে হাত দেয় এবং গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিগত ডেটা লিক করে প্রতারনা করে । যাই হোক এ ব্যাপার এ ও আগামীতে বলা হবে । এখন আমরা হ্যাকার সম্পর্কে জানবো ।
হ্যাকারদের বিভিন্ন ধাপ ->
1.হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার :
এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করার জন্য হ্যাকিং করে না । এদের লক্ষ্য হয় সুনির্দিষ্ট, কোনো সাইট এর সিকুউরিটি চেক করে তার রিপোট করাই এদের প্রধান কাজ । এরা নিজেদের জ্ঞানকে অন্যের উপকারে লাগায় । এদেরকে ইথিক্যাল হ্যাকার ও বলা হয় ।
এদের নিতিমালা >
নেটওয়ার্ক এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এবং তাতে প্রবেশ করতে পারবে কিন্তু কোনো ক্ষতি বা কোনো ফাইল সংগ্রহ করতে পারবেন না ।
কোনো ব্যাক্তি মালিকানাধিন অথবা প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি রক্ষার খাতিরে তাদের উপস্থিতিতে বা তাদের পারমিশন সাপেক্ষে সিকিউরিটি রক্ষার কাজ করতে পারবেন কিস্তু তাদের কে না জানিয়ে কোনো কাজ করতে পারবেন না ।
সিকিউরিটিতে আঘাত করে এমন কোনো তথ্য কোথাও প্রচার করা যাবে না ।ইথিক্যাল হ্যাকারদের কাজ সাইট এর সিকিউরিটি সমস্যা বের করা এবং তা এডমিন কে জানানো সেটা সাধারনত ইমেইল অথবা অন্য কোনো মাধ্যমের উপর নির্ভর করে ।
2. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার :
ব্লাক হ্যাট দের কে আন্তর্জাতিক ভাবে হ্যাকার ধরা হয় । সাধারনত এরা স্টাইলিশ হয় এবং নিজ প্রয়োজনে হ্যাক করে । এরা সিকিউরিটি ব্রেক করে চরম ক্ষতি সাধন করতেও পিছুপা হয় না । এদের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম থাকে না এরা যা খুশি করতে পারে ।
3. গ্রে হ্যাট হ্যাকার :
হোয়াইট এবং ব্লাকহ্যাট এর মিশ্রনই এতে পাওয়া যায় । ব্লাক হ্যাট এর মতো এদেরও খুব শক্তিশালী নিতিমালা নেই । এরা ইথিক্যাল এবং নন ইথিক্যাল দু রকম কাজেই দক্ষ । এরা কাজের বিনিময়ে অর্থ নেয় । এরা এডমিনকে তার সিকিউরিটি এর দুবলতা ধরিয়ে দেয় এবং এরপর তা ঠিক করে দিতে টাকা নেয় ।
4. এলিট হ্যাকার :
এরা অত্যান্ত জ্ঞানী হন । এরা এক্সপ্লোইট বের করে এবং এডমিনকে তা জানায় । এরা ইথিক্যাল এর মতন হয় অনেকটা …
5. স্ক্রিপ্ট কিড্ডিল :
এরা এক্সপার্ট কোনো হ্যাকারনা । পরজীবি এর মতন এরা অন্যের উপর নির্ভর করে হ্যাক করে । এরা হ্যাক করতে বিভিন্ন টুলস্ ব্যবহার করেন ।
6. নিওফাইট:
এরা হ্যাকিং এ একদম নতুন সাধারণ নতুন ছাত্র এর মতন । এদেরকে হ্যাকিং এর শিক্ষার্থী ও বলা হয় ।
7. নীলহ্যাট BLUEHAT :
এরা বিভিন্ন কোম্পানীর হয়ে তার সিকিউরিটি রক্ষার কাজ করেন । এরা অত্যান্ত মেধা সম্পন্ন হয় । এদের হ্যাকিং সিমাবদ্ধ । বর্তমানে মাইক্রোসফটও এ ধরনের হ্যাকারদের কে সিকিউরিটি চেক করার জন্য রাখছে ।
এছাড়াও বিভিন্ন হ্যাকিং গ্রূপ প্রাইভেট ভাবে অথবা সরকারী ভাবে বানানো হয় আবার অনেকেই কোনো গ্রপে কাজ না করে ব্যাক্তিগত ভাবে কাজ করেন ।
কি কি চাকরি হতে পারে এথিকাল হ্যাকিং শিখে:
সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট , এথিকাল হ্যাকার , নেটওয়ার্ক ম্যানেজার , নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ,নেটওয়ার্ক অ্যাডমিন , হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার , আরো অনেক কিছু।