পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে ফের একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। ইতিপূর্বেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা এরাজ্যের শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে শুরু হয়েছিল কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা কেই বারবার দায়ী করেছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী, সোমেন মিত্রের মত বিরোধী দল নেতারা। অবশেষে নবান্নের তরফ এ সবুজ সংকেত দিতেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসতে শুরু করেছে এ রাজ্যে। কেন্দ্রের সাথে দ্বন্দ্ব বাড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার খরচ দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে অন্তত দু হাজার ট্রেনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন বাম পরিষদীয় দলনেতা।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত গত এক মাসে মাত্র 105 টি ট্রেনের অনুমতি পেয়েছে রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রের গাফিলতিতে তাও বদল হয়ে যাচ্ছে। ভিটেমাটি টানে আর অর্থশূন্য হয়ে কার্যত কোনক্রমে দিন গুনছেন আটকে পড়া শ্রমিকেরা। সমস্ত বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ট্রেনে না হোক, অন্তত বাসে করে শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত সরকারের। এই বিষয়ে স্বচ্ছতার সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। তবে নবান্নের তরফ এ স্পষ্ট করা হয়েছে, শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রেও কেন্দ্রের রাজনীতি বলেই কটাক্ষ করা হয়েছে শাসক শিবিরের তরফে।